আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬       বেরোবি শিক্ষার্থী আফ্রিদি ফিরবে লাশ হয়ে      

 width=
 

“বিএনপির আজকের এই অবস্থার জন্য খালেদা দায়ী”

রবিবার, ২০ জুলাই ২০১৪, রাত ১০:১৫

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনের সড়কে যুবলীগের ইফতার-মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী প্রতিদিনই ইফতার রাজনীতির মাধ্যমে অশ্লীলভাবে রাজনীতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। এটা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত দু:খজনক। তিনি প্রতিদিনই বলছেন রাত পোহালেই শেখ হাসিনা সরকারকে নামাবেন। প্রতিটি রাতই তো পোহাচ্ছে?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরাও প্রতিদিন ইফতার আয়োজন করতে পারতাম। বক্তব্য দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করি নাই। আর উনি প্রতিদিনই ইফতারের মাধ্যমে সরকার পতনের হুমকি দিচ্ছেন, মিথ্যাচার করে চলেছেন।’

এ সময় তিনি বিএনপির নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনি দুই বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, বৃহত্তর একটি দলের চেয়ারপাসন। আপনার আচার-আচরণও হবে যে পদে আছেন, সেই পদের মতো। আপনি বস্তুনিষ্ট আলোচনা করুন, সঠিক দিক নির্দেশনা দেন। তা না করে প্রতিদিনই কাগজের বাঘের হুংকার দিচ্ছেন। এসব করে লাভ হবে না, আগামি নির্বাচনই পারে নতুন সরকার গঠন করতে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের উদ্দেশ্যে আশরাফ বলেন, ‘বেচারা কী করবেন? তার নেত্রী যেটা নির্দেশ দেন, তিনি প্রতিদিন ইফতারের এসব বলেন। তিনি হয়তো অত্যন্ত বাধ্য হয়ে সুবোধ বালকের মতো বক্তব্য রাখছেন। যত চেষ্টাই করেন, আপনার নেতা তো খালেদা জিয়া। আপনাকে আপনার ছেলের বয়সী তারেক রহমানের তাবেদারি করতে হবে।’ আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বিএনপির উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘জনগণের রায়ের মাধ্যমে এই সরকার গঠিত হয়েছে। যতই হুমকি দেন তাতে সরকারের কিছুই যায় আসে না।’ ‘বাঁশি ফুঁ দিলেই শেখ হাসিনা সরকারের থাকবে না তারা এমন ভাব করে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা পানিতে ভেসে আসেন নাই। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাকে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে, ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতাচ্যুত করবেন। ১৯৭৫ সালে একবার পেরেছিল বলে বারবার পারবে বাংলাদেশে আর সে সুযোগ নাই।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় আরেকবার কমিটি করেছেন। একটা সন্মেলনও তো করেন নাই। মির্জা আব্বাস একজন প্রবীণ রাজনীতিক। তিনি মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু তিনি বাঁশিতে ফুঁ দিলেন আর আন্দোলন হয়ে গেল! আন্দোলন তো সেটা নয়।’ ‘একবার কেন একশোবার মহানগর বিএনপিতে সংযোজন-বিয়োজন করেন কোনো লাভ হবে না। এবারও আন্দোলনে ব্যর্থ হলে মির্জা আব্বাসকেও বলা হবে সরকারের দালাল।’

এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আর কত জনের গলা কাটবেন, কত জনকে দায়িত্ব দেবেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘বেগম জিয়া যদি যদি বর্তমানে রাজনীতির নীতি পরিবর্তন না করেন, সমস্ত দায় দায়িত্ব কিন্তু তাকেই নিতে হবে।’

যুবলীগ আয়োজিত রোববারের ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ। 

মন্তব্য করুন


 

Link copied