ইউসুফ আলী সংগ্রামী, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ৩২ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী সিকিউরিটি ফোর্স বিএসএফের একের পর এক তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। এই সীমান্তে প্রতিনিয়ত বিএসএফ উষ্কানীমূলক সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশী হত্যা, গুলিতে আহত করা, সীমান্ত থেকে বাংলাদেশী ধরে নিয়ে নির্যাতন, ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাংলাদেশীদের আতঙ্ক করার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। উপজেলার খলিশাকোটাল সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া-বিহীন ৯৩৪ থেকে ৯৩৫নং আন্তর্জাতিক পিলার সংলগ্ন প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় বিএসএফ যেন রীতিমতো বাংলাদেশীকে টার্গেট করে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা এই সীমান্তে নোম্যান্সল্যান্ডে ভারতীয়দের উস্কে দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে স্থাপনা নির্মাণসহ প্রতিদিনই হাতবোমার বিস্ফোরণ, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে বাংলাদেশীদের আহত করছে। এছাড়া নিরপরাধ বাংলাদেশীদের সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করছে। সীমান্ত সূত্র জানিয়েছে, বিএসএফের ধারাবাহিক এই যুদ্ধাংশ তাণ্ডবে গত ১৮ জানুয়ারি ভোর থেকে ২০ জানুয়ারি রাত ১১টা পর্যন্ত ভারতীয় বশকোটাল ক্যাম্পের বিএসএফের এলোপাথাড়ি রাবার বুলেটে ৬ বাংলাদেশী সহ ৩ ভারতীয় নাগরিক আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জানুয়ারি ভোরে আমিনুল ইসলাম (২৮), মানিক চন্দ্র (৩৭), জাহাঙ্গীর আলম (৩০), শফিকুল ইসলাম (২৭), আরিফুল ইসলাম (২০) আহত হয়। অন্যদিকে ২০ জানুয়ারি রাত ১১টায় গুলিতে আহত হয়েছে ছকরুদ্দিন (৪০) নামের এক বাংলাদেশীসহ সুমন (২৭), ভুট্ট (২৮), নুর ইসলাম (২৬) নামের ৩ ভারতীয় নাগরিক আহত হয়েছে। এ সীমান্তে বিএসএফের এলোপাতারি গুলির ব্যাপারে ঘটনাস্থল উপজেলার খলিশাকোটাল সীমান্তের ৯৩৪/১এস আন্তর্জাতিক পিলার সংলগ্ন ১৯ জানুয়ারি বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ গুলির ব্যাপারে সতর্ক থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা গুলি বন্ধের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। এ ব্যাপারে খলিশাকোটাল সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করেছে। সীমান্তে ভারতীয় অভ্যন্তরে বাংলাদেশীদের প্রবেশাধিকার বন্ধে তারা সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের সতর্ক করছেন।