বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৩, রাত ১১:১২
জামিল সারোয়ার, শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের সীমাহীন দুর্নীতি-অনিয়ম-নিয়োগ বাণিজ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন বহির্ভূত সকল প্রকার কার্যক্রম ও তৎপরতার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজ ও প্রায় তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নেমেছে। আন্দোলনের ৬ষ্ঠ দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধঘোষণা করেন। আন্দোলন থেমে থাকেনি, আরও জোরদার হয়েছে রংপুর শহরে তথা গোটা উত্তরবঙ্গে। দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ তৈরির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে গত ৫ জানুয়ারি থেকে । এমতবস্থায়, মাননীয় উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সাথে কথা না বলে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের সাথে আপসের মাধ্যমে আন্দোলন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করেন এবং আন্দোলন থামানোর হুমকি দেন। আমরা বলতে চাই, আন্দোলন গণতান্ত্রিক অধিকার । অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে। যেদিন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেবেন, শুধুমাত্র আপনার পদত্যাগের দাবিতে সেদিন থেকেই আন্দোলন পুনরায় শুরু হবে। মাননীয় উপাচার্য নিজেই অনিয়ম-দুর্নীতি করবেন, বাঁধা দিলে পেটোয়া বাহিনী দিয়ে প্রহার করবেন । এমনকি এসিড ছুড়ে মারবেন এবং চূড়ান্ত সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করে নিজেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে, মেয়াদের অবশিষ্ট দিনগুলো কাটিয়ে দেবেন, এটা হতে দেয়া যায় না। এটা একটা অন্যায়। এ অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্ছার গোটা ছাত্র সমাজ। এ বিশ্ববিদ্যালয় তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর তথা পুরো বাংলাদেশেরই । যা এখন জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। মাননীয় উপাচার্য শুধু নিজের পরিবারের চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করতে পারেন না। ভাবতে হবে তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর পরিবারের কথাও। জবাবদিহি থাকতে হবে ষোল কোটি মানুষের কাছে। তাই অবিলম্বে খুলে দেয়া হোক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিপক্ষ না থাকলে সে আন্দোলন জমে উঠেনা। আমরা তো বলি, প্রতিপক্ষ না থাকলে সেটা হবে উদ্যোগ, গণজাগরণ বা সাহসী পদক্ষেপ; আন্দোলন হতে যাবে কেন! পথের কাঁটা দূর করতেই আন্দোলন। অধিকার আদায় করতেই আন্দোলন। সে আন্দোলন করতে গিয়ে বাঁধা তো আসবেই। দ্বিধা নেই প্রতিপক্ষই হবে তখন প্রধান বাঁধা সৃষ্টিকারী। বাঁধা দূর করতে তাই হতে হবে সুকৌশলী। প্রতিপক্ষের চেয়েও। লড়তে হবে সবটুকু দিয়ে। দাবি না আদায় করা পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত। তাই অধিকার বা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যা করা হবে সেটাই আন্দোলন। আন্দোলনে জনগনের পূর্ণ সমর্থন ও অংশগ্রহণ আন্দোলনকে শক্তিশালী করে। প্রগতির পথকে বেগবান করে। আন্দোলনের যৌক্তিকতা তখন উপস্থাপিত হয় সমাজে, রাষ্ট্রে এবং পুরো বিশ্বে। উপাচার্য মহোদয়, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের শপথ নিয়ে শুরু করেছি পথচলা । এ আন্দোলনে ভাঁটা পড়ার সম্ভাবনা নেই । আমরা লক্ষে অবিচল । তাই ফলাফল হতাশাজনক হওয়ার আশঙ্কায় পিছুটান নেই । দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমনই এক আন্দোলনে নেমেছি, প্রগতির পথকে বেগবান করতে আমাদের প্রতিবাদ চলবেই। যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানব জাতির প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে তোলার যে ইতিহাস সেই ইতিহাস আমাদের প্রেরণা। প্রগতির পথ কে বেগবান করতে অধিকার আদায়ের আন্দোলন চলবেই। প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে উঠবেই। উঠতেই হবে । সহস্র শিক্ষার্থীর কণ্ঠে আজ একই উচ্চারণ- জয়ের নেশায়, গর্জে উঠে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে । প্রতিদিন প্রতিবাদ, প্রতি মুহূর্তে.....।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম