আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: লালমনিরহাটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ পিছন থেকে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়লেন যুবক       ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পরে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার       ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা      

 width=
 

গোলাম আযমের মৃত্যু : ৪৬৫ দিনেই শেষ ৯০ বছরের দণ্ড

শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৪, রাত ০১:২৭

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে ৯০ বছর সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর গোলাম আযমের সাজা এক বছর ১০০ দিনেই শেষ হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার রাতে অধ্যাপক গোলাম আযমের মৃত্যুর কারণে তাকে দেওয়া ৯০ বছরের কারাদণ্ড ফৌজদারি কার্যবিধির অধীনে ৪৬৫ দিনেই সমাপ্ত হল। এদিকে গোলাম আযমের মামলার আপিলের শুনানির জন্য আগামী ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিল আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করে আদেশ দেন। প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি এস কে (সুরেন্দ্র কুমার) সিনহা, বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। গত বছরের ১০ আগস্ট গোলাম আযমের দণ্ডাদেশ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আসামিপক্ষ আপিল করে। আপিলে সাড়ে নয় হাজার পৃষ্ঠার মূল ডকুমেন্টে ১০৯টি গ্রাউন্ড আনা হয়েছে। আর মূল আপিল আবেদন ৯৫ পৃষ্ঠার। আবেদনে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হচ্ছেন জয়নুল আবেদিন তুহিন। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ গত বছরের ১৫ জুলাই এ রায় ঘোষণা করেন। গোলাম আযমের মামলায় আসামিপক্ষের ১২ জন সাফাই সাক্ষীদের মধ্যে মাত্র ১ জন সাক্ষীর (গোলাম আযমের ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আব্দুল্লাহিল আযমী) জবানবন্দি গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মতিউর রহমান ও জব্দ তালিকার ৭ সাক্ষীসহ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মোট ১৭ জন সাক্ষী প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মানবতাবিরোধী ৫ ধরনের অপরাধের সুনির্দিষ্ট ৬১টি ঘটনায় অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ১৩ মে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের অভিযোগ হল- মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র, সহযোগিতা, উস্কানি, সম্পৃক্ততা ও বাধা না দেওয়া এবং ব্যক্তিগতভাবে নির্যাতন। ২০১২ সালের ১০ জুন তার বিরুদ্ধে ওপেনিং স্টেটমেন্ট উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন। ১ জুলাই থেকে শুরু হয় প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ। একই বছরের ১১ জানুয়ারি গোলাম আযমকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ওই বছরের ৯ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থা তদন্ত শেষ করেন।  

মন্তব্য করুন


 

Link copied