পার্বতীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত আলী জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার খনির উপ-ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মনোয়ার হোসেন ও নিরাপত্তা ইনচার্জ বেলাল হোসেনসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আটক অন্যরা হলেন আনসার সদস্য জামিল হোসেন, আজাদুল, ও আনসার আলী এবং খনির বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারী মোহাম্মদ নাসির, লতিফ সরাফি, বিসমিল্লাহ-হেল কবির ও মোজাফফর হোসেন। এর আগে খনির উপ-মহাব্যবস্থপক (প্রশাসন)এএম মোস্তফা ফেরদৌসী বাদী হয়ে আসামী অজ্ঞাত উল্লেখ করে বুধবার একটি মামলা করেছেন। মামলা নং ৮।
এদিকে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি ইকবাল বাহার আজ সকালে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি এবং খনির বিষ্ফোরক গুদাম পরিদর্শন করেছেন। এসময় দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ময়নুল ইসলাম তার সাথে ছিলেন।
উল্লেখ্য, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে বিষ্ফোরক গুদাম থেকে তালা ভেঙ্গে ডেটোনেটর কড চুরি (তামার তার) করে দূর্বৃত্তরা। এই গুদামেই রয়েছে খনির কাজে ব্যবহারের জন্য শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক বিষ্ফোরক। মঙ্গলবার বিষ্ফোরক দ্রব্য রাখার গুদাম ঘরের তালা ভাঙ্গার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
এই ঘটনায় তাৎক্ষনিক খনির মহা ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) মীর মোহাম্মদ আব্দুল হান্নানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্ট মতে ৮টি ডেটোনেটর কর্ড (প্রতিটি ৩ মিটার লম্বা) চুরি হয়েছে। তবে অন্যান্য বিষ্ফোরক মজুদ যথাযথ রয়েছে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের বিস্ফোরক গুদামে রহস্যজনক চুরি সংঘটিত হয়েছে। বিস্ফোরক গুদামে চুরির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদস্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রাথমিক তদন্তে গুদামে রক্ষিত ৮টি ইলেক্ট্রিক ডেটেনেটর চুরি যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়েছে। বিস্ফোরক গুদাম চুরির বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন-উৎকন্ঠায় পড়েছেন কর্তৃপক্ষ।
খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, বর্তমান দেশ একটি খারাপ সময় পার করছে। এই সময়ে বিস্ফোরক গুদাম চুরির বিষয়টি সকলকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। তবে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের দায়িত্ব অবহেলার কোন বিষয় আছে কীনা। এতো নিরাপত্তার মধ্যেও কীভাবে এই চুরি সংঘটিত হলো।