আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

বিরল স্থলবন্দর বাস্তবায়ন আর কত দূরে?

রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, দুপুর ০২:৩৯

সেন্ট্রাল ডেস্ক: টানা সাড়ে ৬ বছর অতিবাহিতের পরেও প্রস্তাবিত বিরল স্থল বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ এখনো শুরু হয়নি। আজো হবে কি না তা নিয়ে চলছে এলাকায় জল্পনা কল্পনা। বিরান ভূমি’র মতো বিরল উপজেলার সীমান্ত লাগোয়া চক শঙ্করপুর মৌজার মানিকপাড়া গ্রামের প্রান্তরে স্থলবন্দরের সংরক্ষিত ১৭ একর জমি পড়ে আছে। এদিকে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় সরকার বছরে রাজস্ব হারাচ্ছে গড়ে ৭ কোটি টাকা। বিরল স্টেশন কেন্দ্রিক স্থল বন্দরের মাধ্যমে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যে বহুবিধ অসুবিধা দেখা দেওয়ায় এবং দেশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে রেল ও সড়ক পথে ভারত, ভূটান ও নেপালের সাথে বাণিজ্যিক লেনদেনের উপযোগী পরিবেশ থাকায় সরকার চলতি শতাব্দীর প্রথম দশকে বিরল স্থলবন্দর’কে মানসম্মত স্থলবন্দরে গড়ে তোলার কথা বিবেচনায় আনে। কেননা, তৎকালীন বৃটিশ আমল থেকেই এই অংশ ভারতের সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ ছাড়াও সড়ক পথে যোগাযোগ ছিল। সুবিধাজনক পরিবেশে বিরল স্থলবন্দর নির্মাণ করতে বর্তমান চলতি শতাব্দীর প্রথম দশকের প্রথমার্ধে বিরল থেকে ৮ কি.মি. পশ্চিমে বিরল- রাধিকাপুর (ভারত) রেলপথ লাগোয়া উত্তরে মানিকপাড়া গ্রামের অংশে স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে বোচাগঞ্জ-বিরল আসনের তৎকালীন জাতীয় সংসদ সদস্য সাবেক সেনা প্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুবর রহমান ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর বিরল স্থলবন্দরের ফলক স্থাপন করেন। ইতোমধ্যে স্থলবন্দরের জন্য সরকারি ভাবে পাওয়া যায় ৯ একর জমি, আরো ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। মোট ১৭ একর জমির ওপর স্থল বন্দরের অবকাঠামো নির্মিত হবে। কাজের অগ্রগতি দেখতে গত ৪ বছরে একাধিকবার মন্ত্রী, জাতীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব গণ স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সার্কিট হাউসে করেছেন বৈঠক। তারপরেও অজ্ঞাত কারণে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দেশের উত্তরাঞ্চলে কয়েকটি স্থলবন্দর দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তির অধীনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান’কে ইজারা দেবার পাশা-পাশি বিরল স্থলবন্দর‘কেও ২০ বছরের মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। সূত্র মতে, ইজারা প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর বিরল স্থলবন্দর গড়ে তোলার সামগ্রীক দায়িত্ব বর্তায়। এদিকে, একটি চুক্তির আওতায় স্থলবন্দরের জন্য ৩ লাইন বিশিষ্ট ইয়ার্ডসহ একটি ফ্লাগ স্টেশন ভারতীয় উদ্যোগে নির্মিত হওয়ার কথা। পাশা-পাশি ভারতের শেষ প্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রাধিকাপুর থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তর অবধি নতুন করে মিকসড গ্রেজ লাইনও স্থাপনের কথা। প্রস্তাবিত বিরল স্থলবন্দর ঘুরে ও এলাকার কৃষক মজিবর জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে দিনাজপুর গোর-ই-শহীদ বড় ময়দানে বিশাল জনসভায় বক্তব্যে বলেছিলেন, আমরা ক্ষমতায় আসলে এই বিরল স্থলবন্দর বাস্তবায়ন করব। তবে শুনেই আসছি স্থলবন্দর হবে। তাহলে কে করবে এই পুর্ণাঙ্গ বিরল স্থলবন্দর। তা আজো কি সম্ভব। স্বপ্নই থেকে যাবে, না আমরা সপ্নই দেখে যাব?  এ যাবৎ কাজের কাজ বলতে কিছুই হয়নি। দেখা যায়, কোনো ফ্লাগ স্টেশনের চিহ্ন নেই। এই অংশ থেকে প্রায় ৫০০ ফুট দীর্ঘ লাইন স্থাপনের কথা স্থলবন্দর পর্যন্ত তারও আলামত নেই। উত্তর অংশে চকশঙ্কপুরের প্রান্ত দিয়ে প্রায় ৬০ ফুট প্রশস্ত এবং ১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের কথা! সে কাজও শুরু হয়নি। ওই এলাকার সমতল ভূমি থেকে রেল সড়ক উঁচু প্রায় ৮ ফুট। সে কারণে, স্থলবন্দরের ১৭ একর অংশই মাটি ভরাঠ করে রেলপথের সাথে সমতা আনার কথা। কোনো কাজই হয়নি। কবে নাগাদ এতসব কাজ শুরু হবে তা কেউ জানেনা। এ ব্যাপারে বেসরকারি বরল পোর্ট ল্যান্ড লিমিটেডের এমডি সহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন জানান, সংযোগ সড়কসহ সড়কপথ এবং স্থলবন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে রেল লাইন অন্তর্ভুক্ত করে বাস্তাবায়ন করে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম উপযোগী হলেই চুক্তি অনুযায়ী বিরল পোর্ট ল্যান্ড লি. কাজ করতে পারবে। স্থলবন্দর দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তির অধীনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেবার পাশা-পাশি বিরল স্থলবন্দরকেও ২০ বছরের মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। এদিকে, সেখানে এখনো কোনো ফ্লাগ স্টেশনের চিহ্ন নেই। এই অংশ থেকে প্রায় ৫‘শ ফুট দীর্ঘ লাইন স্থাপনের কথা স্থলবন্দর পর্যন্ত, তারও কোনো আলামত নেই। উত্তর অংশে চকশঙ্কপুরের প্রান্ত দিয়ে প্রায় ৬০ ফুট প্রশস্ত এবং ১ কি. মি. দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের কথা, সে কাজও শুরু হয়নি। ওই এলাকার সমতল ভূমি থেকে রেল সড়ক উঁচু প্রায় ৮ ফুট। সে কারণে, স্থলবন্দরের ১৭ একর অংশই মাটি ভরাঠ করে রেলপথের সাথে সমতা আনার কথা। কোনো কাজই হয়নি। কবে নাগাদ এতসব কাজ শুরু হবে কেউ জানেনা। একটি চুক্তির আওতায় স্থলবন্দরের জন্য ৩ লাইন বিশিষ্ট ইয়ার্ডসহ একটি ফ্লাগ স্টেশন ভারতীয় উদ্যোগে নির্মিত হওয়ার কথা। পাশা-পাশি ভারতের শেষ প্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রাধিকাপুর থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তর অবধি নতুন করে মিকসড গ্রেজ লাইনও স্থাপনের কথা।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে দিনাজপুরের বিরল রেল স্টেশনের ওপারে ভারতের রাধিকাপুর স্টেশন পর্যন্ত মিটার গেজ রেল লাইনকে ব্রডগেজ লাইনে রুপান্তরিত করে ভারত সরকার। কিন্তু বাংলাদেশ সীমানার ঠনঠনিয়া থেকে পাবর্তীপুর পর্যন্ত মিটারগেজ লাইনকে ব্রডগেজ রেল লাইনে রূপান্তর না করায় এ বন্দর দিয়ে আমদানী রফতানী বন্ধ হয়ে যায়। বেকার হয়ে পড়ে শত শত শ্রমিক। সরকার হারাতে থাকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে জোট সরকারের আমলে এই স্থলবন্দটির ভূমি অধিকরণসহ উদ্বোধন করা হয়। ভারতের রাধিকাপুর হতে বাংলাদেশের পার্বতীপুর রেল জংশন পর্যন্ত রেললাইনের পাশে ডুয়েল গেজ স্থাপন করে ব্রডগেজে রুপান্তরিত  এবং  বিরল পাকুড়া মোড় হতে কিশোরীগঞ্জ সীমান্ত এলাকার ওয়ার হাউস স্থাপনের জন্য অধিগ্রহণে নেওয়া জমি পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণ প্রকল্পটি ইতোমধ্যে ডিপিপিও অনুমোদন লাভ করলেও অজ্ঞাত কারণে ফাইলটি আবারো লালফিতায় বন্দি হয়ে পড়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied