৪. প্রস্তাবের দিন (First Dating): এই দিনটা একটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটায় নিজেকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখো। আলাদা করে নিজেকে সাজিয়ে রেখো না। তুমি যেরকম সেরকমই নিজেকে উপস্থাপন কর। নিজের পেশা, ভালোলাগাগুলো সত্যি সত্যিই বল.. মনে রেখো আমরা অনেক সময় মোড়ক দেখে
জিনিস কিনি ঠিকই, কিন্তু সেই জিনিসটা ভালো না হলে ব্যবহার করি না শুধুই সাজিয়ে রাখি। তাই মোড়ক নয় আসল আমিটাকেই তোমার প্রিয় মানুষটার সামনে তুলে ধর। হতে পারে সেটা তার দারুণ পছন্দের হলো না। কিন্তু সততা আর সত্যির একটা আলাদা মুল্য আছে। ভালোবাসার ক্ষেত্রে কথাটা বড় বেশি করে সত্যি।
৫. সত্য রে লও সহজে: লুডো খেলছে কখনও। তা হলে তো জানোই, এই যে আমরা ডায়াস মানে গুটিটা যখন কোর্টের মধ্যে ছুঁড়ি তাতে ছক্কার পরার সম্ভাবনা থাকে ১/৬ ভাগ। অঙ্ক জিনিসটা বড় কাঠখোট্টা গো, ওসব হিসাবটিসাব মানে না। তুমি যাকে প্রেমের প্রস্তাব করছো তার কাছ থেকে পজেটিভ উত্তর আসার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। আবার প্রত্যাখানের সম্ভাবনাটাও ওই ৫০ ভাগ। এই অঙ্কটা যদি বুকে পাথর চড়িয়েও মেনে নাও তাহলে ভালো। প্রস্তাবের দিন ওর মুখে না শুনে নিজেকে বদলে ফেল না, জোর করো না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কথাটা খুব বলতেন সেটা মেনে নাও। সত্য রে লও সহজে... আর অবশ্যই উত্তর যদি হ্যাঁ আসে তাহলে একেবারে সপ্তম স্বর্গে উঠে যেও না। মনে রেখো যেই মুহূর্তে উত্তর হ্যাঁ এলো তোমার ওপর অনেক দায়িত্ব এল। আসল দায়িত্বটা হলো যে মানুষটা তোমায় এত বিশ্বাস করে হ্যাঁ বলল, সেই বিশ্বাসটা ফিরিয়ে দেওয়ার। এটা কিন্তু অনেক কঠিন কাজ।
৬. যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখো: প্রস্তাব করার পর উত্তর যাই আসুক যোগাযোগ যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখো। জানি কথাটা মুখে বলা অনেক সহজ, করা কঠিন। কিন্তু শুধু তোমার প্রস্তাবে না করেছে বলে তুমি দেবদাস হয়ে পাগলামি করবে কিংবা ভিতু হয়ে লেজ গুটিয়ে পালাবে এমন কাজ করো না। তবে হ্যাঁ তাকে ভুলে যাওয়ার জন্য কদিন একটু দূরে থাকতেই পারো। আর প্রেমের প্রস্তাবের উত্তর হ্যাঁ আসলে ফোন,এসএমএস, মেলের সংখ্যা অতি উৎসাহে এমন বাড়িয়ে ফেলো না যাতে সে বিরক্ত হয়। মনে রেখো তুমি যতই ক্ষুধার্ত হও বেশি খেলে কিন্তু বদহজম হয়ে যায়। সূত্র: ওয়েবসাইট।