রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে দায়িত্বভার গ্রহণ এবং তৎসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম হতে কেন বিরত থাকার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না মর্মে ৭দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল।
রোববার নিকটতম প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার দায়েরকৃত মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনের প্রেক্ষিতে রংপুর সিটি কর্পোরেশন বিরোধ সংক্রান্ত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও জেলা যুগ্ন জজ আদালত-১ এর বিচারক এই আদেশ দেন। আদালত সুত্র জানা গেছে, ৭ ফেব্রুয়ারী নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার দায়েরকৃত মামলায় (নং-৬/১৩)ফৌজদারী কার্যবিধির অর্ডার ৩৯ রুল ১এর বিধানমতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত শুনানীর জন্য উপস্থাপন করা হলে শুনানী শেষে প্রাইমাফেইসি মামলা বিদ্যমান থাকায় এই আদেশ দেয়া হয়।
আদেশে মামলার ১নম্বর প্রতিপক্ষ সিটি মেয়র শরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু ৭দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, গত ২০ ডিসেম্বর মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা হাস প্রতীক নিয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে।
ওই নির্বাচনে ১নম্বর প্রতিপক্ষ মোটর সাইুকেল প্রতীক নিয়ে শরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু আচরন বিধি লংঘন করে মনোনয়ন পত্র দাখিল কালে হলফনামার বিধি মোতাবেক চাহিদা মোতাবেক শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সার্টিফিকিটের ফটোকপি, ফৌজদারী মামলার বিচারাধীন থাকা ও অর্থনৈতিক বিষয়,শেয়ার বাজারে বিপুল অর্থায়ন করাসহ তথ্য হলফনামায় প্রদান না করে গোপন করার কারনে শরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টুর মনোনয়নপত্র বৈধ ছিল না।
বিষয়টি গোপন রেখেই তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টুর মেয়র পদের নির্বাচন বাতিল মর্মে ঘোষনা নির্বাচনী ট্রইব্যুনালে গত ৭ ফেব্রুয়ারী একটি মামলা দায়ের করেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। মামলায় বলা হয়, ঝন্টু হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সার্টিফিকিটের
তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল আদালত রংপুরে জিআর নং ৫২৬/০৩ দণ্ডবিধি ১৪৭,১৪৮,১৪৯, ৩২৩,৩২৫,২২৬,৩০৭,১১৪/৩৪মামলা হয়েছে। এই মামলায় ঝন্টু ১৪নং আসামী। ঝন্টু পলাতক আসামী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বি/ধ জারী আছে এবং তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ চলছে। এই বিষয়টি গোপন করে ১৮নভেম্বর দাখিলী মেয়র পদের হলফনামায় মামলার তথ্য প্রদান করেন নি ঝন্টু।
এতে বলা হয়, এছাড়াও তার আয়ের উৎস বিষয়ে শেয়ার বাজারে ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৭শ’৪০টাকা ৩৭পয়সা বিনিয়োগ থাকার পরেও তা হলফনামায় গোপন করেছেন। ফলে আইনত তার মনোনয়ন বৈধ ছিল না। মনোনয়নপত্র সিটি কর্পোরেশন ম্যানুয়াল অনুযায়ী অবৈধ হওয়ায় ঝন্টুর নির্বাচনী ফলাফলও অবৈধ হয়েছে। মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার পক্ষে আদালতে শুনানীতে অংশ নেন এ্যাডঃ সৈয়দ আশরাফ আলী।