আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

জমি সংক্রান্ত জটিলতা, ফেরৎ যাচ্ছে ১৪ কোটি টাকা

বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, দুপুর ১২:১৫

সেন্ট্রাল ডেস্ক: কুড়িগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের জন্য সরকার ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও জমি সংক্রান্ত জটিলতায় ৫ বছর ধরে আটকে আছে এর উন্নয়ন কাজ। ফলে জেলার প্রায় ১৫ হাজার ডায়াবেটিক রোগী সু-চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির আওতায় ১০০ শয্যার হাসপাতালের পূর্নাঙ্গ নির্মাণ কাজ না হওয়ায় সেখানে শুধু বহির্বিভাগ চিকিৎসা সুবিধা আছে, আন্তঃ:বিভাগ নেই। ফলে যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার প্রায় ১৫ হাজার ডায়াবেটিক রোগী।

ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজা জানান, জেলার অসংখ্য রোগীর মধ্যে সমিতির হাসপাতালে নিবন্ধনকৃত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৭০০জন। নিবন্ধন ছাড়াও ৭-৮ হাজার রোগীর প্রাথমিক তথ্য আছে। এ রোগীদের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা সুবিধা দেয়া গেলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির এফিলিয়েশন প্রাপ্ত কুড়িগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ কাজিউল ইসলাম জানান, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জেলা পরিষদের এক একর ৩৫ শতাংশ জমি ২০০৫ সালে এক সনা লীজ নেয়া হয়। এর পর সমিতির কর্মকর্তরা স্থানীয় ভাবে প্রায় ২ কোটি টাকা তহবিল সংগ্রহ করে জমির একাংশে ভবন নির্মাণ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে ২০০৬ সালের মার্চ থেকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা শুরু করেন। বিগত ২০০৬-০৭ অর্থ বছরে সমাজ সেবা মন্ত্রণালয় ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে সমিতির আওতায় ১০০ শয্যার একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেন এবং ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর একনেকে তা অনুমোদিত হয়। কিন্তু হাসপাতাল নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জমি জেলা পরিষদ দীর্ঘ মেয়াদে লীজ না দেয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং নির্মাণ কাজ আটকে যায়।

২০১০ সালের ২০ জুন অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২২তম বৈঠকে জনস্বার্থে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদের জমি বিনামূল্যে কিংবা প্রতীকী মূল্যে সমিতিকে দীর্ঘ মেয়াদী লীজ দেয়ার জন্য সুপারিশ করে এবং স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জমি লীজ দেয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত লীজ দেয়ার বিষয়টির সুরাহা হয়নি। অথচ এই অর্থবছরে টাকাটা খরচ করতে না পারলে তা ফেরৎ যাবে। কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. লোকমান হাকিম বলেন, ২২ লাখ জন-অধ্যুষিত এ জেলায় বর্তমানে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। উপজেলা হাসপাতাল গুলোতে গুরুত্বর অসুস্থ ডায়াবেটিক রোগীদের দীর্ঘদিন ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা নেই। এ কারণে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই সব রোগীদের কল্যাণে ডায়াবেটিক হাসপাতালটি জরুরী ভাবে নির্মাণ করা প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied