আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

ভালোবাসা হোক সার্বজনীন

বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, রাত ১১:৫৮

১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে নামে পরিচিত। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দিনটি উদযাপন করা হয়। বিশেষ করে তরুন প্রজন্ম এ দিনটিকে পালন করে বেশ ঘটা করেই। দিন টিতে মানুষ তার প্রিয় জনকে ফুল, কার্ড, চিঠি সহ বিভিন্ন উপহার দিয়ে থাকে।

ইতিহাস মতে, তৃতীয় শতকে রোমের যাজক ছিলেন দ্বিতীয় ক্লাডিয়াস। সে সময় তার ঘোষণা অমান্য করে প্রথম ভ্যালেন্টাইন গোপনে প্রেমিক-প্রেমিকাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ২৭০ খ্রিস্টাব্দে বিশপ ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেন। তৃতীয় ভ্যালেন্টাইন উত্তর আফ্রিকার একটি রোমান সাম্রাজ্য আত্মোত্সর্গ করেন। ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে এই তিন ভ্যালেন্টাইন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার জন্য আত্মাহুতি দেন।

সেসব ইতিহাসের পথ ধরে ৪৯৬ সালে প্রথম জেলসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবসের ঘোষণা দেন। দিবসটি সর্বজন গ্রহণযোগ্যতা পায় প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড ব্যায় করে এই ভালোবাসা দিবসের জন্য কার্ড, ফুল, চকোলেট সহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী ও শুভেচ্ছা কার্ড ক্রয় করে। এ দিবস কে ঘিরে শুধু যুক্তরাজ্যেই প্রায় ২.৫ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদাপ্রদান হয়। ১৭৭৬ সালে ফরাসি সরকার দিবসটি পালনে নিষিদ্ধ করে। সময়ের সাথে সাথে এক সময় অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানীতেও দিবসটি নিষিদ্ধ হয়।

বাংলাদেশে দিবসটির রাষ্ট্রিয় কোন নিষেধাজ্ঞা বা স্বীকৃতি না থাকলেও পাশ্চাত্য অনুকরণে দিনটি যুব সমাজে পালিত হয়ে আসছে। ইসলাম ধর্মাম্বলম্বীদের বড় একটা অংশ শুরু থেকেই এ দিবস পালনের বিরোধিতা করে যাচ্ছে।

ভালোবাসার জয় চিরদিনের। ভালোবাসা দিয়ে জয় করা যায় সবকিছু। তাই আসুন, ভালোবাসাকে শুধু একটা গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ছড়িয়ে দেই সবখানে। ভালোবাসা শুধু একটা দিন কিংবা কোন বিশেষ মানুষের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে। ভালোবাসা হোক দেশ, মাটি, মায়ের জন্য। ভালোবাসা হোক সার্বজনীন।

১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী শৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যারা বুকের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করে গনতন্ত্রের পথ প্রশস্থ করেছিল তাদের প্রতি রইলো আমাদের হৃদয় নিংরানো ভালোবাসা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied