বেলা ১১ টার দিকে হাজিরহাট নামক স্থানে হরতাল সমর্থকরা রাস্তায় ব্যারিকেট দিলে পুলিশের সাথে এই সংঘর্ষ বাধে। হরতাল সমর্থকরা পুলিশ কে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের ব্যবহার করা ২টি পিকআপ ভাঙচুর করে ১টিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় এলাকাবাসী দুই শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটকদের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন- কারমাইকেল কলেজের ছাত্র আব্দুস সালাম। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে।
বর্তমানে পুলিশ এবং গ্রামবাসী যৌথভাবে শিবির অধ্যুষিত গ্রাম হাজিরহাট পূর্বপাড়া ও বালাপাড়া এলাকা ঘিরে নিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি শাহাবুদ্দিন খলিফা সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করছে।
এছাড়া সকাল ৭টা থেকে মহানগর শিবির নেতাকর্মীরা নগরীর পর্যটন এলাকায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে টায়ারে আগুন দিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এছাড়াও নগরীর দমদমার ধর্মদাস এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে পিকেটাররা। সেখান থেকে আব্দুস সামাদ নামে এক শিবিরকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নগরীতে সকাল থেকেই যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে খুলতে শুরু করেছে অধিকাংশ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতি প্রতিদিনের মতই স্বাভাবিক। তবে দূর পাল্লার পরিবহন চলাচল করছে না। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে নগরীর শাপলায় জামায়াত ও শিবির কার্যালয়সহ নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, সাতমাথা, মেডিকেল মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নগরজুড়ে রয়েছে র্যাবের টহল।
কোতোয়ালি থানার ওসি শাহাবুদ্দিন খলিফা জানান, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। কেউ কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।