গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নিয়োগ প্রত্যাশী প্রার্থীরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ে ৩০ ডিসেম্বর দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আবুল কালাম আজাদ প্রথম স্থান অধিকার করে। কিন্তু নিয়োগ কর্তৃপক্ষ তাকে না নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী প্রার্থী আঃ রহিমকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ। এরই অভিযোগে আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩০টি বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের নামের তালিকা উপজেলা কমিটির নিকট প্রেরণ করবে। উপজেলা কমিটি তা পুনরায় যাচাই বাচাই-পূর্বক সঠিক প্রার্থীকে অনুমোদন করে নিয়োগের জন্য প্রতিষ্ঠান ও সভাপতির নিকট যে প্রার্থীকে পাঠাবে সেই ওই পদে নিয়োগ পাবে।কিন্তু এ নিয়োগ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ৩০ বিদ্যালয়ের মধ্যে নিয়োগ প্রার্থীর বয়সে লুকোচুরি, স্বজনপ্রীতি, সনদপত্রে গড়মিলসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তুলে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে মন্দুয়ার, জামুডাঙ্গা ও ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মওলা জানান, অভিযোগ গুলো তদন্ত-পূর্বক ২০ টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ অনুমোদন ও একটি প্রতিষ্ঠানের পুনঃ পরীক্ষা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।