রংপুর প্রতিনিধি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ এর বাবা ও তার শ্বশুরের নামে অপপ্রচার করে তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে এবং এ কাজটি ছাত্রলীগ নামধারী একটি অংশ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
বুধবার দুপুরে নগরীর মিতালী হোটেল ও হোটেল তিলোত্তমায় ভিন্নভাবে এই দুটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন, দুর্নীতি বিরোধী মঞ্চের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মতিউর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগে বলা হয়, ছাত্রলীগ পরিচয়ে সম্প্রতি ড. তুহিন ওয়াদুদের নামে ও তার বাবার নামে মিথ্যাচার করে পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। এই পোস্টারে তার বাবাকে জামায়াতের রুকন বলে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
এছাড়া ওই পোস্টারে বলা হয়, তিনি জামায়াতের একজন পোষ্যপুত্র। এসব অপপ্রচারে তিনি ভীষণভাবে আহত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তার বাবাকে খানসেনারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করাকালীন সময়ে উদীচী, স্বনন ও বিজ্ঞান চেতনা পরিষদের আহবায়ক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছাত্র থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিহ্ন নামে একটি ছোট কাগজের সম্পাদনা করতেন। তিনি বিভিন্ন সভায় বক্তব্য দানকালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের বিচার ও তাদের রাজনীতি বন্ধেরও দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ, আপেল মাহমুদ ও জেলা ছাত্রলীগের ধনজিৎ ঘোষ তাপস প্রমুখ।
অপরদিকে বেরোবির ছাত্রলীগের একটি অংশ তুহিন ওয়াদুদকে জামায়াত শিবিরের লোক বলে দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেহেদী হাসান শিশির।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ১০ জানুয়ারির ঘটনা ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল ঘটিয়ে তাদের নামে অপপ্রচার করেছে। শিক্ষকদের উপর হামলা ও তাদের উপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনাটি অস্বীকার করেন উপস্থিত নেতারা। এ ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, যারা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নানা অপপ্রচার করছে তারা মুলত সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বানচাল করার একটি ষড়যন্ত্র বলেও অভিযোগ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান শিশির, হাদী উজ্জামান হাদী, মোহাম্মদ আলী রাজ, হারুণ, তিতাস, আপন, রনি প্রমুখ।