আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: লালমনিরহাটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ পিছন থেকে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়লেন যুবক       ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পরে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার       ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা      

 width=
 

ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার ভেলকিবাজি শুরু করেছে : ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল

শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, রাত ০৮:০৮

তিনি বলেন, ‘সরকার ব্যর্থতা ঢাকতেই ভেলকিবাজি শুরু করেছে। কিন্তু সরকার যে ভেলকিবাজি খেলতে চেয়েছিল তা দেশবাসী বুঝে গেছে।” কোনো ভেলকি ও ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন ফখরুল।

শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও বড়মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজনে বিশাল জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদ,জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহেদ কামাল চেšধুরী, সহ-সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক তৈমুর রহমান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ মাসুদ,সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের আহবায়ক মহেবুল্লাহ চেধুরী আবু নূর, সদস্য সচিব মাহাবুর হোসেন তুহিন প্রমুখ।

মির্জা আলমগীর বলেন ‘দেশে এখন নানা সংকট বিরাজ করছে। এই সংকটকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার নানা ছলচাতুরি করছে। যত রকমের ছলচাতুরি করুক না কেন এদেশের আশি ভাগ মানুষের দাবি আগামী নির্বাচন তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সরকার নানাভাবে কারসাজি করে জনগণের এই প্রত্যাশাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চায়। তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে ধামাচাপা দিয়ে অন্য নাটক সাজাতে চায়’।

তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে সংসদে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিল আনতে হবে। তা না করে একতরফা নির্বাচনের দিকে যদি এগিয়ে গেলে দেশনেত্রীর হুঁশিয়ার অনুযায়ী কঠোর কর্মসূচি দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’

এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে দেশকে দুঃশাসনের এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। এখন সাধারণ মানুষ তাদের ঘরে নিরাপদে অবস্থান করতে পারছে না। শেয়ার বাজার ধ্বংস করে দিয়েছে। হল-মার্ক ডেসটিনির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে ব্যাংকিং সিস্টেমকে ধ্বংস করেছে। একজন মাত্র লোক আবুল হোসেনকে বাঁচানোর জন্য পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ হয়ে গেছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এই ব্যর্থতা ঢাকার জন্য ভেলকিবাজির দরকার। সেই ভেলকিই খেলতে শুরু করেছে সরকার। কিন্তু তাদের ভেলকি উদঘাটিত হয়ে গেছে। দেশের জনগণ বুঝে গেছে, আওয়ামীলীগ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আত্ম তুষ্টির কারণ নেই। বসে থাকার সময় নেই। এখন জেগে উঠতে হবে। বেড়িয়ে পড়তে হবে সংগ্রামের জন্য। মরণপণ সংগ্রাম করতে হবে। যে সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে ছাড়বো।’

এ দেশে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এজন্য গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে হবে। আমরা আগেই বলেছি, আওয়ামীলীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাই বিভিন্নভাবে আন্দোলনকে রুদ্ধ করে দিতে চায়। রাজপথে পাখির মতো গুলি করে মেরে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দমন করতে চায়। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হবে না। আন্দোলনের মাধ্যমেই তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে তাদের বাধ্য করা হবে।’

মন্তব্য করুন


 

Link copied