আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

“নৈরাজ্যের পথ পরিহার করে শান্তির পথে ফিরে আসুন”

সোমবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৫, রাত ০৯:৩৬

তিনি বলেন, গত বছর পাঁচ জানুয়ারি সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে আপনি যে ভুল করেছেন তার খেসারত আপনাকেই দিতে হবে।

শত বাধা সত্ত্বেও জনগণ পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশে এখন আলো আছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে নৈরাজ্যের পথ পরিহার করে শান্তির পথে ফিরে আসার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষ হত্যা, নাশকতা, বোমা হামলা, জ্বালাও পোড়াও, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পথ থেকে সরে আসুন।

শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, গত বছরের এই দিনে আপনারা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণের দল, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে টানা দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য সরকার গঠনের ম্যান্ডেট দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ও বোমাবাজির শিকার হয়ে নিরীহ বাসড্রাইভার, বাস-টেম্পো-সিএনজি যাত্রী, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ-বিজিবি-আনসার, সেনাবাহিনীর সদস্য, এমনকি স্কুলের শিশুও নিহত হয়েছে। আহত হয়ে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

তিনি বলেন, আমি জামায়াত-বিএনপি জোটের নির্মমতার শিকার হয়ে যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। আহতদের জন্য আমার আন্তরিক সহানুভূতি।

৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে বিএনপি-জামায়াত জোট সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।

তারা শত শত গাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং ভাংচুর করেছে হাজার হাজার গাড়ি। মহাসড়কসহ গ্রামের রাস্তার দু’পাশের হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলেছে। পুলিশ-বিজিবি-আনসার-সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্যকে হত্যা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, তাদের সহিংস হামলা, পেট্টল বোমা, অগ্নিসংযোগ ও বোমা হামলায়  নিহত হয়েছে শত শত নিরীহ মানুষ। সরকারি অফিস, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফুটপাতের দোকান এমনকি নিরীহ পশুও তাদের জিঘাংসার হাত থেকে রেহাই পায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাও। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম-এর সামনে হাজার হাজার পবিত্র কোরান শরীফ পুড়িয়ে দিয়েছে। জনগণের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সহযোগিতার ফলে উন্নয়নের যে কাজগুলি আমরা শুরু করেছিলাম, তা সমাপ্ত করতে পারছি। পাশাপাশি নতুন নতুন উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষনে তিনি বলেন, আগামী দিনেও যে কোন ধরণের নাশকতা এবং জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখবেন, আপনাদের  কাছে আমি সেই অনুরোধ করছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করেছি। এমন এক অবস্থায় আমরা সরকার গঠন করেছিলাম যখন সমগ্র বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং চরম খাদ্যাভাব চলছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন. দুর্নীতি, জঙ্গিবাদী কার্যক্রম এবং দুই বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দমননীতির ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম বিপর্যস্ত ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ছিল। এই পরিস্থিতিতে আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করে  সমাজের  সকলস্তরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনি। মানুষের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস সঞ্চার করি। নব উদ্যমে দেশ গড়ার কাজে মানুষকে সম্পৃক্ত করি। সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন শুরু করি। দীর্ঘ মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied