মঙ্গলবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৫, বিকাল ০৬:৩০
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৬ জানুয়ারী॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় মঙ্গলবার দুপুরে যৌতুকের ৭০ হাজার টাকার কারনে আনোয়ারা বেগম (২২) নামের এক গৃহবধুকে হত্যার পর হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে পাষন্ড স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ীর লোকজন। বিকালে পুলিশ হাসপাতালের বারান্দা থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে । অভিযোগে জানা যায় চার বছর আগে পার্শ্ববর্তী ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী গ্রামের জয়নাল আবেদিনের মেয়ে আনোয়ারা বেগমের সাথে ডিমলা উপজেলা পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের মধ্যছাতনাই গ্রামের বাছেদ আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম (২৪) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জামাতাকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু গত দুই মাস থেকে জামাতা রবিউল ইসলাম ও আনোয়ারার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন যৌতুকের আরো ৭০ হাজার টাকা দাবী করে আসছিল। আর এ জন্য আনোয়ারাকে প্রায় সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। মঙ্গলবার দুপুরে যৌতুকের টাকা কারনে আনোয়ারাকে পাষন্ড স্বামী সহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বেধরক পিটায়। এতে আনোয়ারা সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললে তাকে ডিমলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হলে তার লাশ হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। ডিমলা থানার ওসি শওকত আলী জানায়, গৃহবধু আনোয়ারা শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে আনোয়ারা মা আবেদা বেগম বাদী হয়ে জামাতা রবিউল ইসলাম, তার ভাই রমজান আলী ও শ্বশুর বাছেদ আলীকে আসামী করে একটি হত্যার অভিযোগ করেছে। বুধবার লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলার মর্গে প্রেরন করা হবে।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম