ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১২ জানুয়ারী॥ চারালকাটা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। অভিযোগ মতে প্রতিদিন প্রভাবশালী মহল চক্রটি বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা থেকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা সড়কের সরনজাবাড়ি এলাকায় স্থাপিত একটি বেইলী ব্রীজ সহ নদী শাসনে নির্মিত পানি উন্নয়নের গাইড বাঁধ হুমকীর মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসী জানায় কিশোরীগঞ্জ থেকে তারাগঞ্জ হয়ে মহাসড়কের মাধ্যমে রংপুর, সৈয়দপুর,দিনাজপুর যাওয়া আসার একমাত্র সহজ পথ হিসাবে তৎকালীন সময়ে বাহাগিলী ও চাঁদখানা ইউনিয়নের মাঝামাঝি চারালকাটা নদীর সরনজাবাড়ি ঘাটেরপাড়ে ১৯৯৪ সালে নির্মান করা হয় একটি বেইলী ব্রীজ। আর এ জন্য চারালকাটা নদী ভাঙ্গন ও শাসনের জন্য গাইড বাঁধ তৈরী করে পানি উন্নয়ন বোড ।
কিন্তু হঠাৎ করে সম্প্রতিকালে একটি প্রভাবশালী মহল উক্ত সড়কের বেইলী ব্রীজ ও চারালকাটা নদীর গাইড বাঁধ ঘেষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে চালিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেছে। এতে করে ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বের গাইড বাঁধটি ধীরে ধীরে ভেঙ্গে পড়ছে নদী গর্ভে। জরুরীভাবে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে বেইলী ব্রীজটিও ভেঙ্গে পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিদ্দিকুর রহমান বলেন বেশ কিছুদিন আগে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছিল । এরপরেও যদি তারা আবার বালু উত্তোলণ করে তাহলে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে তিনি এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কমল কুমার ঘোষ এ ব্যাপারে বলেন সরকারি স্থানে বা নদী এবং নদী শাসনের গাইড বাঁধে বালু, পানি, মাটি উত্তোলন ২০১০ আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষনা রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোড যদি এ ব্যাপারে অভিযোগ করে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর ও কিশোরীগঞ্জের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন বিষয়টি অবগত হয়েছি। আমরা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে বেইলী ব্রীজ সহ চারালকাটা নদীর গাইড বাঁধটি রক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।