তবে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (দায়িত্বরত) এনামুল কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটি তো ভাল কাজ। কিন্তু বেকারদের কর্মের বিনিময়ে সরকারের দেয়া ভাতার টাকা কেটে দান করা কতুটুকু যৌক্তিক- এমন প্রশ্নের উত্তরের তিনি বলেন আমাকে উপজেলা পরিষদ থেকে মৌখিক নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বললেন, “বিষয়টি আমি জানি না। আর সরকারের নিজস্ব তহবিলের দেয়া ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকুরীতদের টাকা কেটে নেয়া যৌক্তিক নয়”- বলে দাবি ইউএনও‘র। আর তাই বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সরকারের ন্যাশনাল সর্ভিসের অধিন হাতীবান্ধা প্রায় ২ হাজার ১ শত যবক-যবুতী চাকুরী করে আসছে। এদের প্রত্যেকেই সরকারি ভাবে মাসিক ৬ হাজার টাকা করে ভাতা দেয়া হয়। এরমধ্যে চাকুরীতরদেন সঞ্চয়ী হিসাবে ২ হাজার টাকা সরকারি নিয়মে রেখে বাকি চার হাজার টাকা হিসেবে তিন মাস বা ছয় মাস পরপর পরিশোধ করা হচ্ছে। কিন্তু এবার সেইসব চাকুরীরতদের সরকারি ভাতা থেকে দুই শত টাকা করে কেটে নিয়ে ক্ষমতাসীনদের ব্যানারে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগের বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে এলাকাবাসীদের মাঝে।