বুধবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৫, বিকাল ০৫:১১
গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে মিঠাপুকুরে উলিপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া খলিল স্পেশাল নামের নাইট কোচের উপর অবরোধকারীদের ছোঁড়া পেট্রোল বোমা তাদের সে স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছে। দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া জলন্ত আগুনে বাসের ভিতরেই পুড়ে মারা যায় মা রহিমা ও রহিম বাদশা। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের দরিচর গ্রামে। তার বড় ছেলে লিটন ঢাকায় একটি গার্মেন্টস এ চাকুরী করে। ছোট ছেলে লিমন দাঁড়িকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। একমাত্র মেয়ে রুমি তবকপুর ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রি। বাদাম বিক্রি করেই ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করার স্বপ্ন ছিল তার। এজন্য স্থানীয় বাজারে বাদাম বিক্রি করে যা আয় হত তা দিয়েই কোন রকমে সংসার চলছিল। আশা ছিল, এবারে ইজতেমায় বেশী বেচা-কেনা করে অনেক টাকা উপার্জন করে বাড়ি ফিরবে। কিন্তু তা আর হল না, তাকে না ফেরার দেশে চলে যেতে হয়েছে। সরেজমিন বুধবার রহিম বাদশার বাড়িতে গিয়ে বিকাল ৪ টায় দেখা যায়, শত শত মানুষ সেখানে ভীড় করছে। তার ছোট ছেলে লিমন ও মেয়ে রুমি পিতার মৃত্যু সংবাদ শুনে বার বার মুর্ছা যাচ্ছে। তাদেরকে সান্তনা দেয়ার যেন কোন ভাষা নেই মানুষের। রুমিকে জিঙ্গাসা করতেই সে হাউ-মাউ করে কেদে বলে এখন আমাদের কি হবে ? খাব কোথায় ? থাকবো কোথায় ? কে আমাদের বাঁচাবে ? তাদের সামনে এখন শুধুই অন্ধকার। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, বাদশা অনেক কষ্ট করে মাথা গোঁজার ঠাঁই বানানোর জন্য ২ শতাংশ জমি কিনেছিল। সেখানে কিছু টাকা বাকি রেখেছিল, ঢাকা থেকে এসে তা পরিষোধ করার কথা। কিন্তু সবকিছুই যেন এলোমোলো। সদা হাস্যজ্জে¦াল বাদশার মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর শুনে আস-পাশ কয়েক গ্রামের মানুষ ছুটে আসে তার বাড়িতে। সবার মূখে একই কথা, বাদশাতো কোন রাজনীতি করেনা। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারনে বাদশাকে প্রাণ দিতে হল কেন ? এ প্রশ্নের জবাব কি কোন নেতা-নেত্রী দিতে পারবেন ? এমন হাজারও প্রশ্ন এখন মানুষের মূখে মূখে। অন্যদিকে, পার্শ্ববর্তী বিজয়রাম তবকপুর গ্রামের রিক্্রাওয়ালা আব্দুল জব্বারের কন্যা জেসমিন আক্তার ( ১৪) এর একই বাসে মর্মান্তিক মূত্যু হয়। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কোন লাশ বাড়িতে পৌঁছেনি। এসব বাড়িতে এখন শুধুই শোকের মাতম।
গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে মিঠাপুকুরে উলিপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া খলিল স্পেশাল নামের নাইট কোচের উপর অবরোধকারীদের ছোঁড়া পেট্রোল বোমা তাদের সে স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছে। দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া জলন্ত আগুনে বাসের ভিতরেই পুড়ে মারা যায় মা রহিমা ও রহিম বাদশা। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের দরিচর গ্রামে। তার বড় ছেলে লিটন ঢাকায় একটি গার্মেন্টস এ চাকুরী করে। ছোট ছেলে লিমন দাঁড়িকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। একমাত্র মেয়ে রুমি তবকপুর ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রি। বাদাম বিক্রি করেই ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করার স্বপ্ন ছিল তার। এজন্য স্থানীয় বাজারে বাদাম বিক্রি করে যা আয় হত তা দিয়েই কোন রকমে সংসার চলছিল। আশা ছিল, এবারে ইজতেমায় বেশী বেচা-কেনা করে অনেক টাকা উপার্জন করে বাড়ি ফিরবে। কিন্তু তা আর হল না, তাকে না ফেরার দেশে চলে যেতে হয়েছে।
সরেজমিন বুধবার রহিম বাদশার বাড়িতে গিয়ে বিকাল ৪ টায় দেখা যায়, শত শত মানুষ সেখানে ভীড় করছে। তার ছোট ছেলে লিমন ও মেয়ে রুমি পিতার মৃত্যু সংবাদ শুনে বার বার মুর্ছা যাচ্ছে। তাদেরকে সান্তনা দেয়ার যেন কোন ভাষা নেই মানুষের। রুমিকে জিঙ্গাসা করতেই সে হাউ-মাউ করে কেদে বলে এখন আমাদের কি হবে ? খাব কোথায় ? থাকবো কোথায় ? কে আমাদের বাঁচাবে ? তাদের সামনে এখন শুধুই অন্ধকার।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, বাদশা অনেক কষ্ট করে মাথা গোঁজার ঠাঁই বানানোর জন্য ২ শতাংশ জমি কিনেছিল। সেখানে কিছু টাকা বাকি রেখেছিল, ঢাকা থেকে এসে তা পরিষোধ করার কথা। কিন্তু সবকিছুই যেন এলোমোলো। সদা হাস্যজ্জে¦াল বাদশার মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর শুনে আস-পাশ কয়েক গ্রামের মানুষ ছুটে আসে তার বাড়িতে।
সবার মূখে একই কথা, বাদশাতো কোন রাজনীতি করেনা। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারনে বাদশাকে প্রাণ দিতে হল কেন ? এ প্রশ্নের জবাব কি কোন নেতা-নেত্রী দিতে পারবেন ? এমন হাজারও প্রশ্ন এখন মানুষের মূখে মূখে।
অন্যদিকে, পার্শ্ববর্তী বিজয়রাম তবকপুর গ্রামের রিক্্রাওয়ালা আব্দুল জব্বারের কন্যা জেসমিন আক্তার ( ১৪) এর একই বাসে মর্মান্তিক মূত্যু হয়। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কোন লাশ বাড়িতে পৌঁছেনি। এসব বাড়িতে এখন শুধুই শোকের মাতম।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন উদ্ধার
সোনার দামে সব রেকর্ড ভাঙল
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত- প্রধানমন্ত্রী
২১ বছর নানান ধরনের খেলা চলেছে : প্রধানমন্ত্রী