ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ রিপোর্টার: মিঠাপুকুরে যাত্রীবাহি বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় অবরোধকারী বিএনপি, জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করে সন্ত্রাস দমন ও বিষ্ফোরক আইনে মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে যৌথবাহিনী অভিযান চালাচ্ছেন।
মিঠাপুকুর থানার এএসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে বুধবার এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপি, জামায়াতের ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ প্রায় জনকে অভিযুক্ত আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদি এএসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, সন্ত্রাস দমন ও বিষ্ফোরক আইনে মামলাটি করা হয়েছে। মামলা নং-১৯।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন: শাহীন মিয়া (৩২), মোখলেছার রহমান (৪৭), মোস্তাফিজার রহমান (৪৫) মাহবুব রহমান (২২), আব্দুর রাজ্জাক মিয়া (৪৬), মিল্লাত মিয়া (১৮), মোবাশ্বের রহমান (২০), সাদেকুল ইসলাম (১৯)।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেন জানান, ‘মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের ১৭ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে’।
অবরোধকারী জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে ওই স্থানে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও জানান তিনি।
যৌথ বাহিনীর অভিযান: এদিকে বাসে বোমা হামলার ঘটনার পর থেকে বাতাসন গ্রাম মহাসড়কের আশপাশের এলাকাগুলোর বিভিন্ন বাড়িতে যৌথবাহিনী সাড়াশি অভিযান চালিয়েছে।
এলাকাবাসি জানায়, পুলিশ বিজিবি ও র্যাব যৌথভাবে দুপুর ২ টার পর থেকে মিঠাপুকুর উপজেলা সদরের চিটলি দক্ষিপাড়া, দুলাহপুর, জায়গীর, ফতেহপুর, বালুয়াপাড়ায় সাড়াশি অভিযান চালায়। বেলা দেড়টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলা সদরে চিটুলি দক্ষিণপাড়ায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াতের যুব ইউনিটের সভাপতি আব্দুল বাছেত মারজানের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার ও স্থানীয় জামায়াত। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
এদিকে এঘটনায় মামলা দায়ের পর জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত মিঠাপুুকুরে গ্রেপ্তার আতংকে অধিকাংশ পুরুষই বাসাবাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে সর্বোচ্চ সকর্ত অবস্থানে। সেখানে বিজিবি ও পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের টহল অব্যহত রয়েছে।