অবরোধে বিভিন্ন যানবাহনে দেওয়া আগুনে দগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে সোমবার দুপুরে পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান এরশাদ। সেখান থেকে বেরিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা ভাবছি না। নির্বাচনের আগে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ঠিক করতে হবে। আমরা কিভাবে নির্বাচন করবো, নির্বাচনের পর বিরোধীদলের সঙ্গে কিভাবে আচরণ করা হবে এসব বিষয় ঠিক করতে হবে আগে। চলমান সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’
এরশাদ এ সময় পাশের দেশ ভারতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আমরা পাশ্ববর্তী দেশে দেখেছি সেখানে নির্বাচন হয়েছে, তারা কাউকে জেলেও পাঠায়নি ফাঁসিও দেয়নি। আগুনে পুড়েও মারেনি। তাদের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ। বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপূর্ণ একটি দেশ। তাই আশা করি এ উদ্ভূত পরিস্থিতি একদিন শেষ হবে। আমরা সবাই শান্তিতে থাকতে পারবো।’
দুই দলকে সহিংসতা বন্ধ ও আলোচনায় বসার জন্য ডাকবেন জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘আমি ডাকবো সবাইকে। আমি যেহেতু এখন সবচেয়ে বয়জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ। আমি ডাকবো আসুন একসঙ্গে বসি। কবে নির্বাচন হয় সেটা নিয়ে এখন আলোচনা করবো না, কিভাবে রাজনীতি সংস্কৃতি ভবিষ্যতে আমরা গড়ে তুলবো সেটেই আলোচনার বিষয়।’
২০ দলীয় জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে এরশাদ বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে তিনি খুব জনপ্রিয়। ডাক দিয়ে ঘরে বসে থাকেন তবে মানুষ রাস্তায় নামতো না। আমরা মানুষকে ভালোবাসি। মানুষকে পুড়িয়ে ক্ষমতায় যাবো না। মানুষ তা সমর্থন করেও না।’
এর আগে ১১টা ৪০ মিনিটে ঢামেকে আসেন এরশাদ। এ সময় তিনি আহতদের খোঁজখবর নেন। তখন তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ।