ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২৩ জানুয়ারী॥ বিএনপির নেতৃতাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধের কারণে উত্তরের নীলফামারীর সহ আট জেলার সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক এই অস্থিরতায় জরুরী যাতায়াতে মানুষজন বাধ্য হয়ে অধিক ভাড়ায় এ্যাম্বুলেন্স আবার ঢাকা যাতায়াতে আকাশ পথে বিমান বেঁছে নিয়েছে। ফলে এ্যাম্বুলেন্স ও বিমানে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। অনেক বিএনপি নেতা কর্মীরাও বিমানে ঢাকা যাতায়াত করায় সৈয়দপুর বিমান বন্দরে এ ক্ষেত্রে তারাও সড়ক পথে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছেন।
বিশেষ করে উত্তরের আট জেলার অধিকাংশ বিমান যাত্রী ঢাকা যাওয়া আসার জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসতে ও যেতে এ্যাম্বুলেন্সেকে একমাত্র ভরসা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। প্রতিদিন দুটি এয়ারলাইনস সৈয়দপুর হতে ঢাকা ছেড়ে যায় এবং ঢাকা থেকে সৈয়দপুর আসে। বিমানের যাত্রীরা সৈয়দপুর থেকে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌছানোর জন্য ভরসা এ্যাম্বুলেন্স।
গত ৬ জানুয়ারি হতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলছে। অবরোধে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু মানুষজনের জরুরী কাজ বন্ধ নেই। এই কারনে সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে বেসরকারি দুটি বিমানে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান অবস্থায় ১৫ দিনের আগেই বিমানের টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। ভিআইপি থেকে ব্যবসায়ী,রোগী, অবস্থাপন্ন লোকজন এমনকি বরযাত্রীও আসছেন বিমানে। আবার সৈয়দপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছে বিমানে। ফলে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার বিমানযাত্রীরা এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছে। প্রতিদিন সকাল ও দুপুরে বিমানের সময়ে এসব এ্যাম্বুল্ন্সে ছুটে আসে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এ্যাম্বুলেন্স চালক জানায় অবরোধে এ্যাম্বুলেন্স এর কদর বেড়েছে। অনেকের জরুরী কাজের জন্য ভাড়া দিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। বিশেষ করে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যাত্রীদের নিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। তারা আরো জানায় বিমানে যে শুধু আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী সহ ব্যবসায়ীরা ঢাকা যাতায়াত করছে তা নয় অনেক বিএনপি নেতা কর্মীও বিমানে ঢাকা যাতায়াত করছেন। আর এ জন্য বিএনপি নেতাদের এ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে এ্যাম্বুলেন্সে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে আনতে ও নিয়ে যেতে হয়।