আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

তিস্তায় পানি প্রবাহ ৯শ কিউসেক; সেচ অনিশ্চিত অর্ধেক জমিতে

মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৫, সকাল ০৮:০৭

দিন দিন নদীর পানি হ্রাস পাওয়ায় গত বছরের চেয়ে চলতি রবি ও খারিপ-১ মৌসুমে তিস্তা ব্যারাজের মাধ্যমে সেচ প্রদানে জমির পরিমান ৩৭ হাজার ৫শত হেক্টর কমিয়ে আনা হয়েছে। ফলে এবার ২৮ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু পানি প্রবাহ কম থাকায় চলতি মৌসুমের অর্ধেক জমিতে পানি সরবরাহ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সেচ মৌসুমে তিস্তা ব্যারাজের ক্যানেলের মাধ্যমে শুধুমাত্র নীলফামারীর জেলার ডিমলা, জলঢাকা, নীলফামারী সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানি সরবরাহ টার্গেট করা হলেও পানি কম থাকায় চরম বিরম্বনায় পড়েছে পাউবো। গত ২১ জানুয়ারী তিস্তা সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহ শুরু করা হয়। অপরদিকে দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া অঞ্চলের সেচ ক্যানেলের সুবিধাভোগীরা পানি জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সেচ ক্যানেলের মাধ্যমে সল্প পরিসরে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

একাধিক সুত্র জানায় ভারতের সাথে বাংলাদেশের ছিটমহল বিনিময় কার্যকর হতে যাচ্ছে। তবে এর সাথে আপাতত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, পশ্চিম দিনাজপুর, কোচবিহার ও মালদহ এলাকায় ভারত তাদের গজলডোবা ব্যারাজের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সেখানে তাদের প্রচুর সেচ দিতে হয়। তার উপর তিস্তা নদীর উপর একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। ফলে তিস্তায় যে পরিমাণ পানি সিকিম থেকে নামছে তা পর্যাপ্ত নয়। যা ভারতের ওই সমস্ত এলাকায় চাহিদা মতো সেচ প্রদান সম্ভব হয় না। সেখানে বাংলাদেশে তিস্তার পানির পাওয়া বিষয়টি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে শুকনো মৌসুমে তিস্তার পানি প্রবাহ আশংকা জনকভাবে কমে যাচ্ছে।

নদী পাড়ের মানুষেরা জানান, নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মৎসজীবীরা তাদের বাপ-দাদার পুরনো পেশা ছেড়ে শহরে গিয়ে হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল। ছোট ছোট খেয়াঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে অচল হয়ে পড়েছে। নৌকাগুলো তুলে রাখতে বাধ্য হচ্ছে। সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে রঙ্গিন পালের নৌকাগুলো। অন্যদিকে নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় একটু বর্ষা হলেই দু'কুল ছাপিয়ে ফুঁসে ওঠছে তিস্তা। এর সাথে নদীর ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ।

তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের সম্প্রসারন কর্মকর্তা রাফিউল বারী সোমবার জানান, চলতি রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে তিস্তা ব্যারাজ থেকে গত ২১ জানুয়ারী থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেচ প্রদান শুরু করা হয়। কিন্তু উজানের প্রবাহ দিন দিন কমে আসায় তিস্তা নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজের কমান্ড এলাকায় সম্পুরক সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

তিনি জানান, গত বছর সেচ নির্ভর রবি ও খরিপ -১ মৌসুমে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় ৬৫ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, কিন্তু সেখানে তিস্তা নদীর পানি অভাবে সেচ প্রদান সম্ভব হয়েছিল মাত্র ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে। ফলে ৩৭ হাজার ৫শত হেক্টর জমি সেচের আওতা থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু এখনও তিস্তার পানি চুক্তি হয়নি সে ক্ষেত্রে গত বছরের ন্যায় চলতি বছরেও তিস্তা নদীর পানির প্রাপ্তিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ফলে এবার রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে (সেচ নির্ভর বোরো) আবাদের সেচ প্রদানের জন্য ২৮ হাজার ৫ শত হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে ডালিয়ায় ১০ হাজার হেক্টর ও নীলফামারীতে ১৮ হাজার ৫ শত হেক্টর। এ ক্ষেত্রে সেচ প্রদান সম্ভব হবে না দিনাজপুর জেলার ২০ হাজার ও রংপুর জেলার ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে।

বর্তমানে তিস্তার পানি প্রবাহ বিষয়ে সম্প্রসারন কর্মকর্তা রাফিউল বারী বলেন গত বৃহস্পতিবার তিস্তা নদীতে পানির প্রবাহ ১ হাজার ৩শত কিউসেক থাকলেও সোমবার তা কমে ৯ শত কিউসেকে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে দিন দিন উজানের প্রবাহ কমছে। বর্তমানে সে পরিমান পানি পাওয়া যাচ্ছে সেচ ক্যানেলের ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied