ছেলের বড় ভাই আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট’র সিনিয়র কর্মকর্তা শরিফুল আমিন রাসেল টেলিফোনে জানান, ৫০ জন বরযাত্রী নিয়ে তাদের বিয়ের জন্য আসার জন্য সড়ক পথে আসার কথা ছিল। কিন্তু হরতালসহ দেশের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য তার আমরা কোন বাস বা মাইক্রো বাস পাইনি। অবশেষে আমরা প্রাইভেট হেলিকপ্টার ঠিক করার চেষ্টা করি, কিন্তু সে হেলিকপ্টার ৪ মার্চ পর্যন্ত বুক থাকায় টেলিফোনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা ছাড়া আমাদের অন্য কোন অপসন ছিল না।
বিয়ে রেজিস্ট্রি করার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী মনিরুল ইসলাম জানান, রেজিস্ট্রেশনের সব কাজ শেষ কেবল ছেলের স্বাক্ষর হলেই সেটা সম্পন্ন হবে। ছেলেটি কবে নাগাদ সেই স্বাক্ষর করতে এবং নববধুর সাথে মিলতে আসতে পারবেন সে ব্যাপারে ছেলে-মেয়ে, তাদের স্বজনদের কেউই নিশ্চিত নন। কারণ আজকের পর আগামী সোম ও মঙ্গলবার হরতাল। কবে নাগাদ পরিস্থিতি এই নব দম্পত্তিকে মেলানোর সুযোগ করে দিতে পারবে তা রাষ্ট্রের কর্ণধাররাই কী জানেন, এ প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা তথ্য কর্মকর্তা(চলতি দ্বায়িত্ব) এ প্রতিবেদককে জানান, এ দেশে যদি পাত্র-পাত্রী দু’জনই দেশেই অবস্থান করেন সেক্ষেত্রে কখনো টেলিফোনে বিয়ে হয়েছে এমন তথ্য তার কাছে নেই। সেদিক থেকে টেলিফোনে বিয়ে রেকর্ড করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা রবীন-অনিকা।