গাইবান্ধার কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পলাশবাড়ীতে ২০টি এবং সুন্দরগঞ্জ ৫২টি দাখিল মাদ্রাসা আছে। এসব মাদ্রাসা নির্মাণ ও এমপিওভুক্ত করাসহ সরকারি-বেসরকারি নানা অনুদান আনার ক্ষেত্রে গাইবান্ধার জামায়াতের সাবেক সাংসদ আবদুল আজিজের ভূমিকা ছিল। এসব মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের প্রায়ই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়। বিষয়টি জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম বলেন,‘ জামায়াত-শিবির এখন ঢাল হিসেবে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করছে। জেলার মাদ্রাসাগুলোর ৯০ ভাগ শিক্ষকই জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা তাঁদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য শিক্ষার্থীদের সহিংসতায় নামিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কারা সরাসরি সহিংসতায় অংশ নিচ্ছে এবং শিশু-কিশোরদের আনছে, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। জামায়াত-শিবির যাতে ধংসাত্মক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য আমরা সাধারণ জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।’
হামলায় মাদ্রাসার শিশুদের কেন ব্যবহার করা হলো—জানার জন্য সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির ইউনুস আলীর মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও তাঁর সব কটি ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। শিবিরের নেতারাও কেউ ফোন ধরছেন না।
জেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও খানকা শরিফ সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শরীফ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, ‘এভাবে মাদ্রাসার নিষ্পাপ শিশু-কিশোরদের হামলা, তাণ্ডবে নিয়ে যাওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। আমরা মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের যেকোনো ধরনের রাজনীতিতে যুক্ত না করার জন্য অতীতেও বলেছি। এখনো জেলার ২৩৪টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের এই অনুরোধ জানিয়েছি।’