সোমবার, ১৮ মার্চ ২০১৩, রাত ১১:৪৪
রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপি অফিস ও ফারইস্টা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির অফিস ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও ২০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পীরগঞ্জে হরতালের বিরুদ্ধে উপজেলা নেতাকর্মীরা মিছিল করে। মিছিল থেকে প্রথমে স্থানীয় ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির অফিস ভাঙচুর করে তারা। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি অফিসে হামলা চালায়। এ সময় সেখানে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ- নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতেই ভাঙচুর করে বিএনপি কার্যালয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি ও টায়ার শেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ছোড়া শর্ট গানের গুলিতে ছাত্রদল সভাপতি সেক্রেটারি রায়হানুজ্জামান খোকন, যুবদলের সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন মুন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়াও ছাত্রদল সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ, বিএনপির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আজাদসহ আহত হয় অন্তত ১৫ জন। গুলিবিদ্ধসহ আহত পাঁচজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নূর মোহাম্মদ মন্ডল অভিযোগ করেছেন, পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশের ছোড়া শর্টগানের গুলিতে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি এ ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন। পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। চারটার পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত। সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপি অফিসসহ অন্য স্থাপনায় ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
আলোচিত’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে যা লিখলেন প্রধানমন্ত্রী
আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই এমভি আবদুল্লাহর জলদস্যুদের
যেভাবে পাওয়া যাবে ঈদে টানা ১০ দিনের ছুটি
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম-দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা হবে না, মূল্যায়ন নতুন পদ্ধতিতে