আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

খালেদা জিয়ার মায়ের নামে দিনাজপুরে চলছে প্রতারনা

শনিবার, ২৩ মার্চ ২০১৩, দুপুর ০১:৩৮

সেন্ট্রাল ডেস্ক: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়্যারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মাতা বেগম তৈয়বা মজুমদারের নামে রক্তদান কেন্দ্রের নামে চলছে প্রতারনা। রক্তদানের কথা বলে করছে উচ্চ দরের ব্যবসা। সাধারন গরীবদের জন্য নেই কোন ধরনের সুবিধা। লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি মহল। সাইন বোর্ডে রয়েছে রক্তদান কেন্দ্র কিন্ত বাস্তবে হচ্ছে সেবার নাম ভাঙ্গিয়ে বড় ধরনের ব্যবসা। সরেজমিনে দেখা ও জানাযায়, দিনাজপুর ডায়বেটিকস মোড়ের উত্তরে অস্থিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাতার নাম ব্যবহার করে একটি রক্তদান কেন্দ্রে চলছে চরামূল্যে রক্ত পরীক্ষার ব্যবসা। এখানে গরীব মানুষের সেবার কথা বা রক্তদানের কথা বললেও সাধারন গরীব মানুষের কোন ধরনের সেবা পাওয়ার সুগোগ নেই। শহরের ফকিরপাড়া এলাকার হাসান আলী একজন দিনমজুর।সম্প্রতি তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে দিনাজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। এমন সময় চিকিৎসক তাকে (বি +)রক্ত লাগবে বলে জানান। তিনি রক্ত সংগ্রহ করার জন্য তৈয়বা মজুমদার রক্তদান কেন্দ্রে যায়। কিন্তু সেখানে রক্ত পেতে গেলে দুইটি শর্ত দিলো প্রথমতো ১ জনকে রক্তদিয়ে বদলি দিতে হবে দ্বীতিয়টি হলো ৫৫০ টাকা দিতে হবে। দিনমজুর হাসান টাকা না থাকায় চলে আসে। পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের সন্ধানি থেকে ১ ব্যাগ রক্ত পায় বিনা টাকায়। সে রক্ত দিয়ে হাসানের স্ত্রী এখন সুস্থ।

বিষয়টি আমাদের প্রতিনিধি জানতে পেয়ে তৈয়বা মজুমদার রক্তদান কেন্দ্রে গেলে সেখানে অর্ভ্যথনায় দায়িত্বে থাকা মহিলার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে অফিসে কেউ নাই। কিছু জানার থাকলে আমাকে বলুন। তাকে জিজ্ঞাসা করলে জানাযায়, বিনামূল্যে বা রক্ত না দিলে রক্ত দেওয়ার কোন ধরনের সুযোগ নেই এবং আমাদের এখান থেকে বাধ্যতা মূলক স্কেনিং বা রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। মূল্য জানতে চাইলে বলেন ৫৫০ টাকা। অথচ একই পরীক্ষা সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে মাত্র ২৫০ টাকা। কিন্তু সেই রক্ত দিনাজপুরে থাকা সন্ধানী, মেডিসিন ক্লাব পরিস্থিতি ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে দিয়ে থাকে। যা তৈয়বা মজুমদার রক্তদান কেন্দ্রে কোন ধরনের সুযোগ নাই। রক্তদান কেন্দ্রের নামে চলছে ব্যবসা হচ্ছেনা কোন ধরনের সেবা।

এবিষয়ে দিনাজপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. পারভেজ রানা(ভারপ্রাপ্ত) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলে, যদি এরকমটা হয়ে থাকে তাহলে খুবই অমানবিক। যা সেবার নাম ভাঙ্গিয়ে শুধুই অর্থ আয়ের চিন্তা করছে। সাধারন মানুষের সেবার চিন্তা করছে না। আমরা সরকারী ভাবে স্বেনিং ফি নিচ্ছি ২৫০ টাকা অতিরিক্ত হলে তারা সেটা ৩০০টাকা করতে পারে। তাছাড়া কোন গরীব অসহায় মানুষের জন্য মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত মেডিসিন ক্লাব-সন্ধানীর মতো ডোনার না থাকলেও রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা যদি না থাকে তাহলে রক্তদান কেন্দ্র কথাটি ব্যবহার করা মোটেও ঠিক হচ্ছেনা। কারন এখানেই স্পষ্ট তারা রক্তদিয়ে ব্যবসা করছে তাদের ওখান থেকে রক্ত গ্রহন করলে বাধ্যতা মূলক সেখানেই পরীক্ষা করতে হবে। আর সেখানকার মূল্য বাহির তুলনায় দ্বীগুন।

সাধারন মানুষের দিকে তাকিয়ে রক্ত দিয়ে জীবন একটি জীবন বাচানোর জন্য সাবেক প্রধানন্ত্রীর মায়ের নাম ভাঙ্গিয়ে সেবা মূলক এই প্রতিষ্ঠানকে পুজি করে যারা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আকুল আবেদন দিনাজপুর বাসীর।

মন্তব্য করুন


 

Link copied