বিষয়টি আমাদের প্রতিনিধি জানতে পেয়ে তৈয়বা মজুমদার রক্তদান কেন্দ্রে গেলে সেখানে অর্ভ্যথনায় দায়িত্বে থাকা মহিলার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে অফিসে কেউ নাই। কিছু জানার থাকলে আমাকে বলুন। তাকে জিজ্ঞাসা করলে জানাযায়, বিনামূল্যে বা রক্ত না দিলে রক্ত দেওয়ার কোন ধরনের সুযোগ নেই এবং আমাদের এখান থেকে বাধ্যতা মূলক স্কেনিং বা রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। মূল্য জানতে চাইলে বলেন ৫৫০ টাকা। অথচ একই পরীক্ষা সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে মাত্র ২৫০ টাকা। কিন্তু সেই রক্ত দিনাজপুরে থাকা সন্ধানী, মেডিসিন ক্লাব পরিস্থিতি ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে দিয়ে থাকে। যা তৈয়বা মজুমদার রক্তদান কেন্দ্রে কোন ধরনের সুযোগ নাই। রক্তদান কেন্দ্রের নামে চলছে ব্যবসা হচ্ছেনা কোন ধরনের সেবা।
এবিষয়ে দিনাজপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. পারভেজ রানা(ভারপ্রাপ্ত) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলে, যদি এরকমটা হয়ে থাকে তাহলে খুবই অমানবিক। যা সেবার নাম ভাঙ্গিয়ে শুধুই অর্থ আয়ের চিন্তা করছে। সাধারন মানুষের সেবার চিন্তা করছে না। আমরা সরকারী ভাবে স্বেনিং ফি নিচ্ছি ২৫০ টাকা অতিরিক্ত হলে তারা সেটা ৩০০টাকা করতে পারে। তাছাড়া কোন গরীব অসহায় মানুষের জন্য মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত মেডিসিন ক্লাব-সন্ধানীর মতো ডোনার না থাকলেও রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা যদি না থাকে তাহলে রক্তদান কেন্দ্র কথাটি ব্যবহার করা মোটেও ঠিক হচ্ছেনা। কারন এখানেই স্পষ্ট তারা রক্তদিয়ে ব্যবসা করছে তাদের ওখান থেকে রক্ত গ্রহন করলে বাধ্যতা মূলক সেখানেই পরীক্ষা করতে হবে। আর সেখানকার মূল্য বাহির তুলনায় দ্বীগুন।
সাধারন মানুষের দিকে তাকিয়ে রক্ত দিয়ে জীবন একটি জীবন বাচানোর জন্য সাবেক প্রধানন্ত্রীর মায়ের নাম ভাঙ্গিয়ে সেবা মূলক এই প্রতিষ্ঠানকে পুজি করে যারা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আকুল আবেদন দিনাজপুর বাসীর।