আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

সাদুল্যাপুরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় সংসদ সদস্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি ভাংচুর

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৩, দুপুর ০৪:২৯

সোমবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে। এ সময় স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত সকলের নিকট নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের পক্ষে প্রথমে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানের ঘোষক উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন খাঁন গাইবান্ধা-০৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ড. টি আই এম ফজরে রাব্বী চৌধুরীর পক্ষে তার প্রতিনিধিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করার জন্য নাম ঘোষণা করেন। সাথে সাথে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে এর প্রতিবাদ করেন। তারপরেও জাতীয় পার্টির দুই নেতা সংসদ সদস্যের শ্রদ্ধাঞ্জলিটি স্মৃতি স্তম্ভে প্রদান করে এলাকা ত্যাগ করেন। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা অনুষ্ঠান পরিচালনা উপ-কমিটির সদস্য ও ঘোষকের উপর চড়াও হয়। পরে ঘোষকের নিকট থেকে নামের তালিকা টেনে ছিঁড়ে ফেলেন এবং স্মৃতি স্তম্ভ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলিটি নামিয়ে ভাংচুর শেষে পদদলিত করেন।

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ উপ-কমিটির আহবায়ক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মেছের উদ্দিন সরকার বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে সিরিয়াল অনুযায়ী শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। কিন্তু এবার হঠাৎ করে সংসদ সদস্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদানের ঘোষণা করায় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান মিন্টু জানান, গত ৪২ বছরে সংসদ সদস্য কোন জাতীয় দিবসে সশরীরে কিংবা তার প্রতিনিধি শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেননি। কিন্তু শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করার আগেও দুই-তিন বার বিভিন্ন সংগঠন নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়। তখন সংসদ সদস্যে বা তার প্রতিনিধির নাম বলা হয় নাই। জনবিচ্ছিন্ন এই সংসদ সদস্যের নাম হঠাৎ করে ঘোষণা করায় শ্রদ্ধাঞ্জলি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

অনুষ্ঠানের ঘোষক জাহাঙ্গীর আলম খাঁন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তালিকায় নাম না থাকলেও প্রশাসনের নির্দেশেই তিনি এই নাম ঘোষণা করেন।

সাংসদের পুষ্পমাল্য ভাংচুর ও পদদলিত করার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অধ্যক্ষ আশরাফ-উল ইসলাম হিরু বলেন, ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী আমাদের দলীয় সংসদ সদস্য। কিন্তু তিনি এলাকা বিমুখ হওয়ায় জনতা তাকে জাতীয় দিবসে এমন অপমান করার সাহস পেয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদানের সময় অ-প্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিলো। পরে মাইক্রোফোনে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মজনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ উপস্থিত থাকায় তাৎক্ষনিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এ কারণে বড় ধরণের কোন সমস্যা হয়নি। তিনি আরো জানান, সংসদ সদস্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি ভাংচুর করলেও এ নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied