জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশ, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিনকে (৩৫) অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে হত্যার ১১ দিন পর হত্যা মামলার মুল আসামি শহিদুল ইসলাম (৪৫) ও মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা (৩২) নামের দুই সহোদর ভাইকে গ্রেফতার করেছেন সাদুল্যাপুর পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও বগুড়ার শেরপুর ফুডভিলেজ থেকে তাদের গ্রেফতার করে সাদুল্যাপুরে আনা হয়। গ্রেফতারকৃত দুই আসামী নিহত আল-আমিনের শ্যালক ও উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের খোদা বক্স গ্রামের মৃত্যু সৈয়দার আলীর ছেলে।
সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজনুর রহমান জানান, আল-আমিন খোদাবকস গ্রামের মৃত্যু মছির উদ্দিনের ছেলে। ১৮ মার্চ রাতে আধিপত্য বিস্তার ও পারিবারিক কলহের জের ধরে শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মনজু, মোস্তা, আরিফুল, আশরাফুল, নজরুল, জিয়ন, মাইন, টেম্পু, শফিউল, জোসনা, নার্গিসসহ সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী আকষ্কিকভাবে আল-আমিনের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আল-আমিনের দুই পায়ের রগ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ সময় তাহাদুল ইসলাম (৪০) নামের অপর একজনকে জখম করে ডান পা কর্তন করা হয়। এ নিয়ে নিহতের ভাই বাদী হয়ে ৩০ জনের নামে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রাজা মিয়া জানান, মামলা হলে পুলিশ আসামিদের ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেন। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল সিরাজগঞ্জে রওনা হন। পথে ফুডভিলেজে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে খাবার খাওয়ার সময় হঠাৎ এজাহার নামীয় ৯ নং আসামী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা পুলিশের চোঁখে পড়েন। এ সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই আসামীকে নিয়ে তাড়াশ থানা পুলিশের সহায়তায় তাড়াশ উপজেলা অভিযান চালিয়ে মামলার মুল আসামি শহিদুল ইসলামকে শহরের পশ্চিমপাড়ার ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের বাড়ি থেকে ভোর ৫ টায় গ্রেফতার করা হয়। ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম আসামির ভগ্নীপতি বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃতদের শুক্রবার দুপুরে সাদুল্যাপুর থানায় আনা হয়।
তিনি আরো জানান, এরআগেও আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মারপিট, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, চুরি, ছিনতাই ও মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। শনিবার তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে গাইবান্ধা জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় জড়িত এ নিয়ে আল-আমিন হত্যাকান্ডে এখন পর্যন্ত এজাহার ভুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো।