আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

নাব্যতা সংকটে তিস্তার যৌবন বিলীনের পথে; ড্রেজিং করা হলে কৃষকরা সেচ সুবিধা পাবে

মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৩, দুপুর ১০:৫৩

ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ রিপোর্টার: হাজার বছর ধরে যে নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে উত্তরাঞ্চলের মানববসতি ও সভ্যতা, ভাটিয়ালী আর ভাওয়াইয়া গান, সেই চিরযৌবনা প্রমত্ততা তিস্তা ক্রমাগত ক্ষীণ হয়ে মরে যাচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে হেঁটে পার হওয়া যায় তিস্তা। নদীতে চলে ঘোড়ার গাড়ি। তার বুক জুড়ে আর নেই যৌবনের স্রোত। হিমালয়ের তুষার গলা পানি আর বৃষ্টি ধারায় তিস্তার জল যতই বেড়ে উঠুক, এখন তা মানুষের হাতে বন্দি। তিস্তার বুক জুড়ে জেগে উঠেছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। যেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আমাদের ছোট নদী” কবিতার সাথে সুর মিল রেখেছে তিস্তা। কবিতার ভাষায় “আমাদের ছোট নদী চলে চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে, পাড় হয়ে যায় গরু পাড় হয় গাড়ি, দুইধার উঁচু তার ঢালু তার পাড়ি।” বৈশাখ আসার আগেই চির চেনা তিস্তা হারিয়েছে তার রূপের ফুল্কি। এদিকে উজানে ভারত ব্যারেজ নির্মাণ করে তিস্তার প্রাকৃতিক প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করছে। একতরফা ভাবে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে বাংলাদেশের ১১২ মাইল দীর্ঘ এই নদী শুকিয়ে এখন মৃতপ্রায়। অথচ এই নদীকে ঘিরেই উত্তরের খাদ্য ভাণ্ডারে সমৃদ্ধি। তিস্তা নদীর ওপর নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার ডালিয়া ও দোয়ানীতে নির্মিত তিস্তা ব্যারেজের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলে কৃষি জমিতে যে সেচ দেয়ার কথা তাও এখন প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পরিবেশগত ও নৌ-যোগাযোগ ক্ষেত্রে। এতে করে ক্রমশ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে প্রকৃতি। ফলে তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে পানির স্তর নিম্নমুখী হচ্ছে।

নদী গবেষক ও রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, উজানে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার গজল ডোবায় ব্যারেজ তৈরি করে সংযোগ খালের মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি মহানন্দা নদীতে নেয়া হচ্ছে। এই সংযোগ খাল থেকে তারা জলপাইগুড়ি জেলা, দার্জিলিং, পশ্চিম দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর মালদহ ও কোচবিহার জেলায় সেচ সুবিধা নিচ্ছে। এ অবস্থায় ১৯৭৭ সালে তিস্তা নদীর ওপর ব্যারেজ, হেড রেগুলেটর ও কোজার ড্যাম তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার।

এ ব্যাপারটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নজরে গেলে জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবা নামক স্থানে (বাংলাদেশ থেকে ৬৩ কি. মি. উজানে) ৯২১ দশমিক ৫৩ মিটার দীর্ঘ ব্যারেজ নির্মাণ করে। এই ব্যারেজটির মাধ্যমে ভারত তিস্তার মোট পানি প্রবাহের ৮০ শতাংশ পানি তিস্তা-মহানন্দা ক্যানেলের মাধ্যমে জলপাইগুড়ি জেলা, দার্জিলিং, পশ্চিম দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর মালদহ ও কুচবিহার জেলার কৃষি জমিতে সেচ প্রদান করছে। উদ্বৃত্ত ২০ শতাংশ পানি ভারত ভাটিতে ছাড়লেও ৬৩ কি. মি. পথ অতিক্রম করে এই স্রোতধারা বাংলাদেশের দোয়ানীতে ব্যারেজ এলাকায় একেবারেই ক্ষীণ হয়ে যায়। ফলে ভাটিতে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি মারাত্মক হ্রাস পেয়েছে। ছোট বড় শতাধিক খেয়াঘাট ও চিলমারীর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে ভাসমান তেল ডিপো ইতিমধ্যেই কয়েক দফা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। নৌ-যোগাযোগের ক্ষেত্রে মারাত্মক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় শ্যালো মেশিন দিয়ে অল্প পানি বের হচ্ছে। এ কারণে সেচ কাজে বিঘ্ন ঘটছে।

এদিকে তিস্তা রেলসেতুর নিচে পানি না থাকায় সেখানে চাষাবাদ করা হচ্ছে। বন্যার সময় প্রতি বছর উজান থেকে পানির সাথে বালু আসার কারণে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। তিস্তায় এখন হাঁটু পানি। এ অবস্থায় নদীটি ড্রেজিং করা হলে এলাকার কৃষকরা সেচ সুবিধা পেত। সেই সাথে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেত। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নদী কমিশন সহ সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied