আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি       শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল      

 width=
 

কাজী জাফরের দাফন আজ

শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০১৫, সকাল ০৬:০২

 
আজ ভোরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভন থেকে তাঁর লাশবাহী গাড়ি  জন্মস্থান কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া কাজী বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেবে।সেখানে তার একাধিক  জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।
 
এর আগে শুক্রবার বিকেলে গুলশান আজাদ মসজিদে তার ৪র্থ জানাজা সম্পন্ন হয়। তার আগে শুক্রবার বাদ জুমা কাজী জাফরের তৃতীয় নামাজে জানাজা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সম্পন্ন হয়। তারও আগে সকাল সোয়া ৮টায় টঙ্গীর মিল গেটের ইস্তেমা ময়দান সংলগ্ন মসজিদে প্রথম জানাজা ও সকাল ১১টা ০৫ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়।
 
এদিকে প্রবীণ এ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে তার পরিবার। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
 
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন যখন মরদেহ দেখতে কাজী জাফরের বাসায় আসেন তখন তাকেও এ বিষয়ে অবগত করা হয়।
 
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব মোস্তফা জামান হায়দার এ বিষয়টি তুলে ধরেন। তখন মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয় রাষ্ট্রীয় সম্মানের বিষয়ে তিনি প্রচেষ্টা চালাবেন।
 
শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্মান না পেলে তাকে কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেই দাফন করা হবে।
 
প্রসঙ্গত, প্রবীণ ও বর্ষিয়ান রাজনীতিক কাজি জাফর আহমদ বৃহ্পতিবার ৭৬ বছর বয়সে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে সকাল পৌনে ৮টায় ইল্তেকাল করেন।
 
১৯৩৯ সালের ১ জুলাই কুমিল্লার বিখ্যাত চিওড়া কাজি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
 
১৯৫৯-১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির জন্মলগ্ন থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।
 
১৯৮৬-১৯৯০ সালে তিনি জাতীয় পার্টির সরকারে পর্যায়ক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বন্দর-জাহাজ ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির রাজনীতিক উপদেষ্টা, ১৯৮৯-১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
 

মন্তব্য করুন


 

Link copied