ইনজামাম-উল-হক, নীলফামারী ১১ এপ্রিল॥ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারে বৃহস্পতিবার জামায়াত শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ২ জনকে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে আশংকাজনক অবস্থায় তাদের রংপুর চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । এ ছাড়া জামায়াত শিবির ওই বাজারের ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করে লুটতরাজ চালায় এবং ২টি দোকান ও একটি মোটরসাইকেল অগ্নি সংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়।এ ঘটনায় পুলিশ ৫ জামায়াত শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ,সকালে হরতালের সমর্থনে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা ওই বাজারে পিকেটিং শুরু করলে আওয়ামীলীগের সমর্থকরা বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গোলনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মশিয়ার রহমানের নেতৃত্বে একটি হরতাল বিরোধী মিছিল বের হয়ে স্থানীয় স- মিলের সামনে সমাবেশ শুরু করে। এ সময় জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা সংগঠিত হয়ে ওই সমাবেশের উপর হামলা চালায়। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইয়াসিন আলী (৫৮) তার দুই পুত্র গিনিরুজ্জামান (৩২) ও আনোয়ারুল হক (৩০) গুরুতর আহত হয়।
গোলনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমরা হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শুরু করলে, ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইউছুফ আলীর নেতৃত্বে জামায়াত শিবিরের ২ শতাধিক নেতা কর্মী লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় । এ সময় তারা ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করে লুটতরাজ চালায়। এবং ২টি দোকানে ও ১টি মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়। এতে আমাদের ৩ জন গুরুতর সহ ২৫জন আহত হয়।
জলঢাকা থানার অফিসার্স ইন-চার্জ (ওসি) তাপস কুমার পণ্ডিত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এঘটনার সাথে জড়িত ৫ জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো রফিকুল(২৫),আব্দুল কুদ্দুস (২৫),আমজাদ হোসেন (৪৫),আবুল কালাম(২০),রোকনুজ্জামান (২৭)।
