আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

ঠাকুরগাঁওয়ে আখের বিকল্প সুগার বিটের সফল গবেষণা

শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০১৩, দুপুর ১০:২৭

ঠাকুরগাঁও চিনিকল ছাড়া আরও ১১টি চিনিকল এলাকায় ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ৫টি জোনে সুগার বিটের পরীক্ষা মূলক চাষ হচ্ছে। সুগারবিট হতে চিনি উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি) ‘বাংলাদেশে সুগারবিট চাষাবাদ প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য ২০১১-২০১২ মওসুম থেকে পাইলট প্রকল্প শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়িত হচ্ছে’। সুগারবিট আখের তুলনায় স্বল্প মেয়াদী (৫ থেকে ৬ মাসের) ফসল। হেক্টর প্রতি গড় ফলন ৭০-৮০ টন। সুগার বিটে বিদ্যমান চিনির হার ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ। সুগারবিট শীতপ্রধান অঞ্চলের ফসল হলেও ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা করে উদ্ভাবিত জাত দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষা মূলক চাষ করছে।

আশা করা হচ্ছে ২০১৪ সালে মেয়াদ শেষে প্রকল্পটি বাংলাদেশে ট্রপিক্যাল সুগারবিট উৎপাদনের প্রযুক্তি প্যাকেজ প্রণয়নের কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন হবে। এর পরই বাণিজ্যিকভাবে এ ফসলটি চাষিরা উৎপাদন করতে পারবে। স্বল্প মেয়াদী, গড় ফলন ও আখের তুলনায় বিদ্যমান চিনির পরিমাণ বেশী থাকায় সুগারবিট চাষে চাষিরা আখের চেয়ে বেশী লাভবান হবে।

একই ভাবে চিনিকলগুলোতে শুধুমাত্র একটি নতুন ইউনিট সংযোজনের মাধ্যমে আখ মাড়াই শেষ হলে, এপ্রিল-মে মাসে সুগারবিট থেকে চিনি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। দেশে আখের পাশাপাশি সুগার বিট থেকে চিনি উৎপাদন শুরু হলে চিনিকলগুলো দীর্ঘদিন উৎপাদনে থাকতে পারবে। চিনি উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে চিনিকলগুলো একদিকে যেমন লাভজনক হবে, তেমনি দেশের চিনির চাহিদাও পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের ষ্টেশন ইন-চার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সুগার বিট একটি স্বল্পমেয়াদী ফসল। এটা বছরে দু’বার চাষ করা যায়। অথচ আখ দেড় বছর মেয়াদী ফসল। জমিতে একবার আখ-চাষের পরিবর্তে দু’বার সুগার বিট চাষ করা সম্ভব। তাছাড়া সুগার বিট চাষ করতে খরচও কম। এতে সার-কীটনাশক কম লাগে। এছাড়াও সবজি (মূলা) জাতীয় এ ফসলের পাতার শাক অত্যন্ত সুস্বাদু।

ইক্ষু বিজ্ঞানী সোহরাব আলী জানায়, ১০০ কেজি আখে যেখানে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ কেজি চিনি হয়, সেখানে ১০০ কেজি সুগার বিটে ১০ থেকে ১২ কেজি চিনি পাওয়া যাবে। বর্তমানে দেশে চিনির চাহিদার তুলনায় খুব সামান্য চিনি উৎপাদন হয় রাষ্টায়ত্ব ১৫ টি চিনিকলে। ফলে চাহিদার বাকিটা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। দেশে চলমান পরীক্ষামূলক সুগার বিট উৎপাদনের এই প্রচেষ্টা সফল হলে দেশের চিনির ঘাটতি পূরণে তা ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

বিজ্ঞানীগণ আরো জানান, এই চিনিকলেই আলাদা এক মেশিন স্থাপন করে সুগারবিট থেকে চিনি উৎপন্ন করা যাবে। জমি থেকে উত্তোলনের পর তা সরাসরি মিলে সরবরাহ করা যায়। বর্তমান চিনিকল সামান্য পরিবর্তন করে আখের চেয়ে অনেক বেশি চিনি উৎপাদন করা সম্ভব। তবে এর বীজ প্রতি বছরই আমদানি করতে হবে। কারণ এই দেশের জলবায়ুতে বীজ উৎপন্ন করা কঠিন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied