আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

অভাবের কারণে গোল্ডেন বুট ধরে রাখা দায় হয়ে পড়েছে রংপুরের মেসিখ্যাত রোকসানার

সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৩, দুপুর ১০:১৬

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে সে ২০১২ সালের জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ খোলোয়াড়,সর্বোচ্চ গোলদাতা ও গোল্ডেন বুট ছিনিয়ে নেয়। ভূমিহীন পাক্ষাঘাতে আক্রান্ত পিতা দেলদার হোসেনের ৩ পুত্র ২ কন্যার মধ্যে মেসি ৪র্থ।  জাহাঙ্গিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর সে জঠরের জ্বালা নিবারণে বাড়ির পাশে বামনীর বিলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করতো। ডানপিটে প্রকৃতির মেসি গাছে উঠতে খুবই পারদর্শী। প্রথম দিকে সে ছেলেদের সাথেই ফুটবল খেলতো। মা হেলেনা বেগম এখন দিন মজুরীর কাজ করে সংসার চালায়। কোন দিন কাজ জোটে কোন দিন জোটে না। যে দিন কাজ জোটে না সে দিন নিশ্চিত উপবাস।

মেসি যখন জাহাঙ্গিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী তখন ২০১১ সালে তার দল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে জাতীয় পর্যায়ে রানার্স আপ হয়। সে সময় মেসি গোল্ডেন বুট প্রাপ্ত হয়। এরপর গঙ্গাচড়া উপজেলার পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবেদ আলী মেসির পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়ে তার বাড়িতে রেখে দেন। ওই বিদ্যালয়ে সে এখন ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী।  আবেদ আলী মেসিকে নিজের মেয়ের মতো করে লালন পালন করছে।

২০১২ সালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট তার দল পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে। ওই খেলায় সে শ্রেষ্ঠ খোলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা  হিসেবে গোল্ডেন বুট প্রাপ্ত হয়। মেসির ফুটবল খেলার অভিনব কৌশল,প্রতিপক্ষকে পাশ-কাটানো,বল নিজের আয়ত্বেরাখার কৌশল দর্শকদের মুগ্ধ করে। মেসির ইচ্ছে সে বিকেএসপি তে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে সম্পৃক্ত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। পাক্ষাঘাতে আক্রান্ত ভূমিহীন পিতার টানাপোড়েনের সংসারে মেসির এই অর্জন ধরে রাখাই এখন দায়। সংসারের চাকা ঘোরোতে শেষ পর্যন্ত তারা মেসির অসামান্য অর্জন গোল্ডেন বুট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গোল্ডেন বুটের দাম কত ? তা তারা জানে না। স্বর্ণকার বুট ভেঙ্গে আগুনে গলানোর পর দাম নির্ধারন করবে বলে জানিয়েছে। গোল বেঁধেছে এখানেই। শেষ পর্যন্ত যদি বুট গলানোর পর দেখা যায় এর দাম যৎসামান্য। তাহলে কি হবে তখন ? এসব নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মেসির পরিবারে। কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি মেসির বাবার সংসারের অভাবে ঘোচানোর সামান্য দায়িত্বও নেয়, তাহলেই কেবল সম্ভব তার গোল্ডেন বুট ধরে রাখা। অন্যথায় নয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied