আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে রংপুরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত

বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০১৫, বিকাল ০৭:১৬

মহানগরীর মাহিগঞ্জের পরেশনাথ মন্দিরে ঢাক-ঢোল আরও উলুধ্বনির মধ্যদিয়ে কুমারী মা’র আসনে ৭ বছর বয়সী রিধিকা রায়কে (মালিনী) বসিয়ে কুমারী পূজা শুরু করা হয়। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী জাতি হয়ে উঠবে পূত-পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন’ এ বিশ্বাসকে বুকে ধারণ করে একজন কুমারীকে দেবী দুর্গাজ্ঞানে পূজা করতে থাকেন ভক্তরা। ১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস এই ৫ উপকরণে দেওয়া হয় কুমারী মা- এর পূজা। অর্ঘ্য দেওয়ার পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্প মাল্য। পূজা শেষে প্রধান পূজারি গৌতম মহারাজ দেবীর আরতি নিবেদন করে দেবীকে প্রণাম করেন। পূজার মন্ত্র পাঠ করে ভক্তদের মধ্যে চরণামৃত বিতরণের মধ্যদিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা পর শেষ হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। সকাল থেকেই সেখানে ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপচে পড়া ভীড়। সব মিলিয়ে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত ১ থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কুমারীকে পূজার উল্লেখ রয়েছে। ব্রাহ্মণ অবিবাহিত কন্যা অথবা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকেও পূজা করার বিধান রয়েছে। বয়সভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন। এক বছর বয়সে সন্ধ্যা, দুইয়ে সরস্বতী, তিনে ত্রিধামূর্তি, চারে কালিকা, পাঁচে সুভাগা, ছয়ে উমা, সাতে মালিনী, আটে কুজ্বিকা, নয়ে অপরাজিতা, দশে কালসন্ধর্ভা, এগারোয় রুদ্রাণী, বারোয় ভৈরবী, তেরোয় মহালক্ষী, চৌদ্দয় পীঠনায়িকা, পনেরোয় ক্ষেত্রজ্ঞা ও ষোল বছরে অম্বিকা বলা হয়ে থাকে।

কুমারী পূজা দেখতে আসা কুমারী সুমি দাস জানান, অন্যান্য বারের চেয়ে এবার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুজা দেখে খুব ভালো লাগছে। এবার রংপুরের প্রতিমাগুলোও খুব সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে।

রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুলের ১ম শ্রেণীর ছাত্রী কুমারী মা রিধিকা রায়ের পিতা অনন্ত বর্মন ও মা রিতা রানী বর্মন নিজ মেয়েকে দেবী দুর্গা রূপে দেখে নিজেকে স্বার্থক হিসেবে আখ্যায়িত করে, কন্যার জন্য সকলের কাছে আশীর্বাদ কামনা করেন।

বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান, সব নারীর মধ্যেই তিনি (দুর্গা দেবী) মাতৃরূপে আছেন। তিনি সব দুর্গতি নাশিনীও। সবার মধ্যে এই উপলব্ধি জাগ্রত করতেই কুমারী পূজা হয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied