দুই বছর আগে Reddit ওয়েবসাইটের এক ইউজার প্রশ্ন করেন, জীবনযাত্রায় কী এমন কোনো ছোট পরিবর্তন আনা সম্ভব যেটা আপনাকে সুস্থ করে তুলবে? দুই বছরের মাঝে সেই প্রশ্নের প্রায় ১৪ হাজার উত্তর জমা হয়েছে। এর মাঝে থেকে বেছে বের করা হয়েছে ২১ টি উত্তর। এই পরিবর্তনগুলো আপনার জীবনে নিয়ে আসলে সুস্থতা লাভ হয়ে উঠবে আগের চাইতে সহজ।
১) কালো কফি পান করুন। দুধ, চিনি এবং আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভার ছাড়া কফি পান করলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
২) দাঁত মাজার সময়ে এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ান। এই কাজটি আপনার ব্যালান্সের উন্নতি করবে।
৩) টোস্টের ওপর মাখনের বদলে অ্যাভোকাডো ছড়িয়ে নিন। অ্যাভোকাডোতে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এটাকে অনেকেই “সুপারফুড”ও বলে থাকেন।
৪) দিনে ২০ মিনিট মেডিটেশন করুন। এতে শান্তি আসবে ভেতর থেকে।
৫) মিষ্টি ক্যান্ডির বদলে খান ফল। ক্যান্ডিতে থাকা প্রসেসড সুগার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এর বদলে প্রাকৃতিক আঁশ ও চিনিযুক্ত মিষ্টি ফল খেলে আপনারই ভালো লাগবে।
৬) রান্না করা শিখুন। রান্না করতে শিখলে বাইরে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমে আসবে। আর নিজে থেকে রান্না করলে স্বাস্থ্যকর রান্না করতেই আপনার ইচ্ছে করবে।
৭) গাড়ি পার্ক করুন গন্তব্যস্থল থেকে দূরে। এতে অফিসে যেতে বেশ কিছুটা হাঁটতে হবে এবং আপনার ব্যায়াম হয়ে যাবে আপনা থেকেই।
৮) এলিভেটরের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এতে আপনার ক্যালোরি পুড়বে এবং পায়ের পেশী সুগঠিত হবে।
৯) কেনাকাটা করতে যাবার আগে বাসা থেকে খেয়ে যান। এতে বাইরে গিয়ে আজেবাজে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হবে না।
১০) আরও বেশি করে পানি পান করুন। পানি যথেষ্ট পান করার উপকারিতা অনেক। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল, ত্বক পাবেন এবং পাবেন শক্তি। এছাড়াও প্রতিবার খাওয়ার আগে পানি পান করলে আপনি ওজন কমাতে পারবেন।
১১) মাঝে মাঝে ফোন বন্ধ করে রাখুন। এতে আপনার জীবন থেকে স্ট্রেস কমে যাবে।
১২) বই পড়ুন।
১৩) দ্রুত হাঁটুন। স্বাভাবিক গতিতে হাঁটার চাইতে দ্রুত হাঁটলে নিজের গন্তব্যে তো আগে পৌঁছে যাবেনই, এর পাশাপাশি ফ্যাট পুড়বে।
১৪) পাউরুটির বদলে খান হোল হুইট ব্রেড। এগুলোতে বেশি ফাইবার থাকে যা আপনার জন্য অনেক উপকারী।
১৫) নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা রোধ করবে।
১৬) প্রতিদিন নিয়ম করে স্ট্রেচ করুন। এতে আপনার শরীরের নমনীয়তা বাড়বে। তার পাশাপাশি আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
১৭) নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুবেন এবং শুকিয়ে নেবেন যথানিয়মে। হাত ধুলে জার্ম চলে যায় এবং হাত শুকিয়ে নিলে ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে যায়।
১৮) বাসে যাতায়াত করলে আপনার বাড়ি থেকে এক স্টপ দূর পর্যন্ত হেঁটে যান এবং বাস থেকে নামুন অফিসের এক স্টপ আগে। এতে অনেকটা হাঁটা হবে, দুশ্চিন্তা কমবে এবং হাড় মজবুত হবে।
১৯) সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যাবে। এর পাশাপাশি আপনার ত্বকও থাকবে তরুণ।
২০) দাঁত ফ্লস করুন। এটা দাঁত পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আয়ু বাড়ায়।
এ ছাড়াও আরও কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো আপনাকে সুস্থ রাখবে-
২১) স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। নিয়মিত ডাক্তার এবং ডেন্টিস্টের কাছে যান। ওজন মাপুন। কী খাচ্ছেন না খাচ্ছেন তার ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
২২) ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকলে অভ্যাস গড়ে তুলুন। ব্যায়াম করা ছেড়ে দেবেন না। কতোটা ব্যায়াম করছেন তার হিসেব রাখুন।
২৩) কী খাচ্ছেন তার দিকে নজর রাখুন। বেশি করে শাকসবজি এবং ফলমূল খান। সময় নিয়ে, উপভোগ করে খান।
২৪) জীবনের স্ট্রেস কমিয়ে রাখুন যতো সম্ভব। বুক ভরে নিঃশ্বাস নিন।
২৫) অন্যদের সাথে নিজের সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে চেষ্টা করুন। সোসশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও বাস্তব জীবনে বন্ধুর সংখ্যা বাড়ান।