রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৫, দুপুর ১১:৪২
কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলেও তা ব্যবহার অনুপযোগী। চিত্রটি রংপুরে অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাত বছর অতিক্রান্ত হলেও শির্ক্ষাথীরা পাচ্ছে নামমাত্র চিকিৎসা সেবা। সরেজমিন প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের বেহাল দশা ফুটে উঠেছে। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগী দেখতে রয়েছেন একজন খন্ডকালীন চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক, অপরজন দন্ত চিকিৎসক। জানা যায়, দন্ত চিকিৎসক হয়েও ডা. এ এম এম শাহরিয়ার অপর চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে সব রোগীকেই ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। দন্ত চিকিৎসক হয়ে তিনি কিভাবে সব ধরণের রোগী দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অপরজন অনুপস্থিত তাই আমাকেই সব দেখতে হচ্ছে। তাছাড়া আমার সব বিষয়েই প্রাথমিক ধারণা রয়েছে।’ এ সময় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, অধিকাংশ সময় চিকিৎসকেরা তাদের বাহির থেকে ওষুধ নিতে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলেন। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রী মনিরা বলেন, রাতের বেলায় কোনো ডাক্তার না থাকায় মেয়েদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি মেডিকেল ফি প্রদান করেও র্দীঘদিন তারা সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন বাদে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসা নিতে হলে অন্যত্র যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। ফলে সময়মতো হাসপাতালে না পৌঁছাতে পারলে অনাকাংক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা রয়েই যায়। এ ব্যাপারে কথা বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) মোর্শেদ উল আলম রনি বলেন, ‘চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুতই ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হবে। আশা করি সেবার মানও উন্নত হবে।’
মন্তব্য করুন
ক্যাম্পাস’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
অবন্তিকার মৃত্যু; সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী আটক
ছাত্রীদের মেসেঞ্জারে অপ্রীতিকর বার্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে ৫ বছর অব্যাহতি
তিস্তা ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
শর্ত গোপন করে বেরোবির দুই শিক্ষকের পিএইচডিতে ভর্তির অভিযোগ