আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

জাপানি খুনের ছক আঁকেন কামাল

শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৫, রাত ১০:০৫

 ডেস্ক  রিপোর্ট: জাপানের নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার ছক আঁকেন রংপুর জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি কামাল হায়দার। তার রাজনৈতিক গুরু বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেলের কাছ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর এ ছক আঁকেন তিনি। বিষয়টি জানতেন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের কয়েকজন নেতাও। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হুমায়ুন কবীর হীরা এ তথ্য দিয়েছেন। জবানবন্দি দেয়ার পর বুধবার রাতেই হীরার চাচাতো ভাই সোলায়মান আলী মুকুলকে আটক করে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে এরই মধ্যে হীরা ও কামালের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিবারের সদস্যরা। কুনিও হত্যার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন কামাল হায়দার। পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। সেই সঙ্গে হীরার জবানবন্দিতে উঠে আসা বিএনপি, জামায়াত নেতা ও জড়িত অন্যদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে তদন্ত দল। কাউনিয়ার কাচু আলুটারী গ্রামে নিজের গড়া খামার বাড়ি দেখতে যাওয়ার পথে খুন হন কুনিও হোশি। তিন ঘাতক তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। কুনিও হোশির ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন হীরা। তবে পুলিশ বলছে, তথ্যপ্রমাণ বলছে, ব্যবসায়িক কারণে খুন হননি জাপানি নাগরিক। এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, জবানবন্দিতে হীরা খুনের বৃত্তান্ত জানিয়েছে। তার তথ্য মতে, ওই খুনের ছক কষেন তার বড় ভাই মৎস্যজীবী দলের নেতা কামাল হায়দার। তার রাজনৈতিক গুরু সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বর্তমান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেলের নির্দেশনামতো এ ছক কষেন তিনি। বিষয়টি তিনি জানলেও কাউকে জানাননি। তুহিন আরও জানান, তবে হীরা জবানবন্দিতে তিন খুনির পরিচয় দেননি। হীরা আদালতকে বলেন, খুনিরা কারা তা তিনি জানেন না। তাদের কে অস্ত্র দিয়েছে, কে মোটরসাইকেল সরবরাহ করেছে, কারা পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে- সে সম্পর্কেও হীরা স্পষ্ট করতে পারেননি। তদন্ত দলের এক কর্মকর্তা আভাস দেন, হীরার এক আত্মীয় জামায়াত নেতা যিনি পাটগ্রামে থাকেন এবং তার বাড়ির পাশে এক বিএনপি নেতা যার সঙ্গে হবিব উন নবী খান সোহেল ও চারদলীয় জোট সরকার আমলের এক সাবেক উপমন্ত্রীর সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে, তারা ওই খুনের পরিকল্পনা জানতেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। হীরার জবানবন্দিতেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে- খুনের ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকেই বিএনপির রংপুরের কয়েকজন নেতা জানতেন। তারাই ভাড়াটে খুনিদের রংপুর থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। পুলিশ এখন ওইসব নেতা ও ভাড়াটে খুনিদের খুঁজে বের করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। সেই সঙ্গে হীরার শ্যালকের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন নিয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে তদন্ত দল। হীরার মা হাসিনা খাতুন ও মুকুলের স্বজনরা জানান, হীরার জবানবন্দি দেয়ার পর বুধবার রাতেই পুলিশের একটি দল সাদা পোশাকে এসে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে চাচাতো ভাই সোলায়মান আলী মুকুলকে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কুনিও হোশি খুনের সময় কামল হায়দার ধাপ এলাকায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। খুনের খবর শোনার পর তিনি ধাপে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে দাঁড়িয়ে আড়াল থেকে কুনিওকে হাসপাতালে নেয়া দেখেন। চিকিৎসকরা কুনিওর মৃত্যু নিশ্চিত করার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান। তদন্ত দলের প্রধান ও পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবীর জানান, নিয়মানুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে কোনো আসামির জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করতে আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। সে নিয়ম মেনেই তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কি বলেছে তা না দেখে বলা ঠিক নয়। এটি আমরা পরে আরও নিশ্চিত হয়ে গণমাধ্যমকে জানাব।

মন্তব্য করুন


 

Link copied