আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: লালমনিরহাটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ পিছন থেকে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়লেন যুবক       ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পরে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার       ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা      

 width=
 

রংপুরে হরতালে আগুন, বিক্ষোভ, অবরোধ, ভাংচুর: গ্রেফতার ৬

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৩, দুপুর ০৩:১৩

ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ রিপোর্টার:আগুন, ভাংচুর, অবরোধ, গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে রংপুর মহানগরীতে পালিত হয়েছে ১৮ দলের টানা ৩৬ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন। এরই মধ্যে ছিল বিজিবি র‌্যাব ও পুলিশের সার্বক্ষণিক টহল। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা বিএনপি আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেনের নেতৃত্বে গ্র্যান্ড হোটেল মোড়, কৃষক দল সভাপতি হাজী তাহেরের নেতৃত্বে সালেক পাম্পের সামনে এবং শহিদুল ইসলাম মিজুর নেতৃত্বে ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি ও সহযোগী সগঠন। এসময় সাবেক এমপি শাহিদার রহমান জোসনা, বিএনপি নেতা অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন, যুবদলের জেলা সহ সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক নুর হাসান সুমন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহিনা আখতারসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, তাতি দলসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দুপুরে সালেক পাম্পের পাশে শ্যালো মার্কেটের পাশে ১ টি, শাপলা ব্রিজের কাছে ১ টি অটো রিকশা ভাংচুর করে পিকেটাররা। এসময় সেখান থেকে সবুজ, লিটন, সুজন হীরাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছেন, তারা দোকানের কর্মচারী ।

অন্যদিকে সকালে নগরীর দর্শণা শুটকির আড়তে সামনে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে টায়ার ও পেট্রোলে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও অবরোধ করে শিবির কর্মীরা। এর আগে সকাল সাড়ে ৬ টায় নগরীর মাহিগঞ্জ-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সরেয়ার তল আমানত কোল্ড স্টোরেজ এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে পিকেটাররা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে শুরু হয় ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে একটি পাল্টা ধাওয়া দিয়ে পিকেটাররা পালিয়ে যায়।

এদিকে নগরীর শাপলা চত্বর জামায়াত অফিস, গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি অফিস, জাহাজ কোম্পানী মোড়, পায়রা চত্বর, সাত-মাথা, মডার্ন, লালবাগ, পার্কের মোড়, টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

হরতালের কারণে নগরী এবং আশেপাশের হাটবাজারগুলোতে তেমন কোন দোকানপাট খোলে নি। আন্ত: ও দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়েও যায় নি। নগরীতে রিকশা ও অটো রিকশা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

একদিকে পিকেটারদের আগুন ভাংচুর, অবরোধ, বিক্ষোভ অন্যদিকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির টহলে নগর জুড়ে ছিল চরম আতংক।

জেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেন জানান, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে। তিনি বলেন দাবী না মানা পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে না।

কোতয়ালী থানার অফিসার ইন-চার্জ শাহাবুদ্দিন খলিফা উত্তরবাংলা ডটকম কে জানান, পুলিশ ও র‌্যাব সর্বোচচ সতর্ক অবস্থায় জন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। কেউ তাতে ব্যাঘাত করতে চাইলে তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied