আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

আমাকে আর মিথ্যা সান্ত্বনা দিয়েন না, ভাই আমাকে নিয়ে যাইয়েন’- ঠাকুরগাঁওয়ের সুরুজের আকুতি

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৩, দুপুর ০২:৪৯

সেন্ট্রাল ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশেই চলে গেলেন শাহাদত। দু’দিন লড়াই করার পর শুক্রবার সকালে তিনি হেরে গেলেন। আর শাহাদতের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছে সুরুজ। যাকেই পাচ্ছেন তারই হাতে পায়ে ধরে আকুতি জানাচ্ছেন তাকে বাঁচাতে। স্বেচ্ছাসেবক ও ল্যাব এইড হাসপাতালের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন ৪৮ ঘণ্টা এক সঙ্গে লড়াই করার পর প্রিয় বন্ধু ও ভাইয়ের মৃত্যুতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সুরুজ। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে শাহাদতের মতোই অবস্থা হতে পারে সুরুজেরও। স্বেচ্ছাসেবক জিরাব তালবাগ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল আহাদ বলেন, “৯টা ৫ মিনিটে আমি তাকে দেখে এসেছি। তার ডান পা পিলারের নিচে আটকে আছে। আমি গেলে আমার পা জড়িয়ে ধরে উদ্ধারের জন্য কান্নাকাটি করে। আমার পা ছাড়তে চাইছিল না। বলছিল, ‘অনেকের পা ধরেছি কেউ ফিরে গিয়ে আর উদ্ধার করতে আসেনি। আমাকে আর মিথ্যা সান্ত্বনা দিয়েন না। ভাই সত্যি সত্যিই আমাকে নিয়ে যাইয়েন’।” ডা. রফিকুল ইসলাম শুক্রবার সকাল ৯টায় জানান, আটকে থাকা অবস্থায় ব্যথানাশক ওষুধসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাকে উদ্ধারে দু’টি পথ রয়েছে একটি হলো ড্রিল করে পিলারটি কেটে দেওয়া, অপরটি হচ্ছে তার কোমর থেকে কেটে ফেলা। প্রথমটির জন্য বিদ্যুতের লাইন ও ড্রিল মেশিন দরকার কিন্তু এখনও সে ব্যবস্থা হয়নি। সুরুজকে উদ্ধার করতে হলে একটি মৃতদেহও সরাতে হবে।” ফুপাতো ভাই আসাদ এখনও এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন ভাইকে বাঁচানোর জন্য। তার আকুতি অনেকে শুনলেও তার ভাইকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে জানা তিনি।

লক্ষ করে দেখা যায়, তাদের দু’জনের পায়ের উপর ও একজনের হাতের উপর পিলার পড়ে আছে। যার কারণে তারা শরীরের উপরের অংশ নড়াচড়া করতে পারলেও পা ও হাত নড়াচড়া করতে পারছেন না। এই দুই হতভাগার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশৈংকল এলাকায়। দু’সম্পর্কের চাচাতো ভাই তারা। দু’জন একই সঙ্গে কাজ করতেন এখানে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied