শনিবার, ৪ মে ২০১৩, সকাল ০৫:৩২
রংপুর নগরীর প্রাণকেন্দ্র সিটি কপোরেশনের অদূরে সাবেক সদর হাসপাতালের একটি জরাজীর্ণ ভবনে অবস্থিত। ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে আগে মূল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে হয় সেখানে ভর্তি হওয়ার পর তার পর এখানে চিকিৎসা শুরু হয়। কাগজ কলমে চারজন ডাক্তার প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও একজন ডাক্তারও আসেন না । তাদের চেম্বার সব সময় বন্ধ থাকে। রোগী ভর্তি হলে নার্স আর আয়ারা ব্যবস্থাপত্র দেন । স্যালাইন পুশ করেন পিয়ন আর আয়া । ফলে চিকিৎসার অভাবে প্রায়শই রোগী মারা যাচ্ছে এখানে। হাসপাতালে ৩টি ভাঙা বেড থাকলেও কোন বিছানা নেই। মহিলা বিভাগের আরও করুণ অবস্থা।বেশির ভাগ সৌচাগারের দরজা নেই । বাতি নেই । পানি নেই। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে টেকা মুশকিল। এভাবেই চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। সরেজমিন হাসপাতালের সংক্রামক ব্যাধি বিভাগে গিয়ে কথা বলে জানা গেছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শফিক জানান তিন দিন আগে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংক্রামক ব্যাধি বিভাগে। নার্স আর আয়াদের দেয়া স্যালাইন ছাড়া কোন চিকিৎসা তার হয়নি। অনেক আকুতি-মিনতি করেও ডাক্তারের দেখা পাননি তিনি। একই কথা জানালেন অন্যান্য রোগীরাও। এক রোগী জানান, দুই দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক বারের জন্য কোন ডাক্তার আসেননি। এখানে তার সামনেই এক রোগী মারা গেল। কিন্তু তার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য সার্টিফিকেটে ডাক্তারের স্বাক্ষরের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। কর্তব্যরত এক নার্স জানান, সাতজন নার্স এখানে কাজ করেন। ডাক্তাররা আসেন না প্রয়োজনের সময় তাদের জরুরি কল দেয়ার জন্য ফোন করারও কোন উপায় নেই। কারণ কোন ডাক্তারের ফোন নম্বর তাদের কাছে নেই। একই কথা জানালেন একজন কর্মচারী ও আয়া । তারা জানান, সন্ধ্যার পর এখানে গাঁজা আর হেরোইনসেবীরা প্রকাশ্যে হাসপাতালের বারান্দায়, এমনকি ভেতরে বসেও নেশা পান করে, প্রতিবাদ করলে হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আবদুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সেখানে সার্বক্ষণিক চারজন ডাক্তার কাজ করার কথা। কেন তারা সেখানে যান না বিষয়টি তিনি জরুরি ভিত্তিতে দেখবেন বলে জানান।
রংপুর নগরীর প্রাণকেন্দ্র সিটি কপোরেশনের অদূরে সাবেক সদর হাসপাতালের একটি জরাজীর্ণ ভবনে অবস্থিত। ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে আগে মূল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে হয় সেখানে ভর্তি হওয়ার পর তার পর এখানে চিকিৎসা শুরু হয়। কাগজ কলমে চারজন ডাক্তার প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও একজন ডাক্তারও আসেন না ।
তাদের চেম্বার সব সময় বন্ধ থাকে। রোগী ভর্তি হলে নার্স আর আয়ারা ব্যবস্থাপত্র দেন । স্যালাইন পুশ করেন পিয়ন আর আয়া । ফলে চিকিৎসার অভাবে প্রায়শই রোগী মারা যাচ্ছে এখানে। হাসপাতালে ৩টি ভাঙা বেড থাকলেও কোন বিছানা নেই। মহিলা বিভাগের আরও করুণ অবস্থা।বেশির ভাগ সৌচাগারের দরজা নেই । বাতি নেই । পানি নেই। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে টেকা মুশকিল। এভাবেই চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম।
সরেজমিন হাসপাতালের সংক্রামক ব্যাধি বিভাগে গিয়ে কথা বলে জানা গেছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শফিক জানান তিন দিন আগে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংক্রামক ব্যাধি বিভাগে। নার্স আর আয়াদের দেয়া স্যালাইন ছাড়া কোন চিকিৎসা তার হয়নি। অনেক আকুতি-মিনতি করেও ডাক্তারের দেখা পাননি তিনি। একই কথা জানালেন অন্যান্য রোগীরাও। এক রোগী জানান, দুই দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক বারের জন্য কোন ডাক্তার আসেননি। এখানে তার সামনেই এক রোগী মারা গেল। কিন্তু তার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য সার্টিফিকেটে ডাক্তারের স্বাক্ষরের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন।
কর্তব্যরত এক নার্স জানান, সাতজন নার্স এখানে কাজ করেন। ডাক্তাররা আসেন না প্রয়োজনের সময় তাদের জরুরি কল দেয়ার জন্য ফোন করারও কোন উপায় নেই। কারণ কোন ডাক্তারের ফোন নম্বর তাদের কাছে নেই। একই কথা জানালেন একজন কর্মচারী ও আয়া ।
তারা জানান, সন্ধ্যার পর এখানে গাঁজা আর হেরোইনসেবীরা প্রকাশ্যে হাসপাতালের বারান্দায়, এমনকি ভেতরে বসেও নেশা পান করে, প্রতিবাদ করলে হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আবদুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সেখানে সার্বক্ষণিক চারজন ডাক্তার কাজ করার কথা। কেন তারা সেখানে যান না বিষয়টি তিনি জরুরি ভিত্তিতে দেখবেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম