আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

গাইবন্ধায় ৩০ শ্রমিকের অপেক্ষায় অশ্রুকাতর স্বজনেরা

বুধবার, ১ মে ২০১৩, দুপুর ০১:২৭

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঘাঘট নদীর তীরের একটি ইউনিয়নের নাম দামোদরপুর। কর্মহীন এ ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষ ভাগ্য বদলানো ও পেট ভরে খাবার আশায় গ্রাম ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ঢাকার সাভারে। তারপর পোশাক কারখানায় জোটে শ্রমিকের কাজ। সাভারের রানা প্লাজার ৫ গার্মেন্টসেই কাজ করতেন এ ইউনিয়নের ৫ শতাধিক শ্রমিক। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ পর্যন্ত গাইবান্ধার ১৭ শ্রমিকের মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছেছে। তাদের দাফনও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু জেলার শুধু মাত্র একটি গ্রাম এই দামোদরপুরের অনন্ত ৩০ জন শ্রমিকের কোন খোঁজ এখনো মেলেনি।

দামোদরপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, এ ঘটনার খবর পেয়ে ধার-দেনা করে গ্রামের মতিজান বেগম একমাত্র সন্তানের খোঁজে ছুটে গিয়েছিলেন সাভারে। খেয়ে না খেয়ে বুক চাপড়িয়ে কেঁদে কেঁদে এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতাল, স্কুলের মাঠ সবখানে খুঁজেও ছেলের খোঁজ না পেয়ে ৫ দিন পর বাড়ি ফিরে এসেছেন। ছেলের শোকে আর কাঁদতেও পারছেন না তিনি। শুধু প্রলাপ বকছেন। মতিজান বেগমের মতো এ গ্রামের অনেকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মানুষের মুখে হাসি নেই। চুলায় জ্বলে না আগুন। নেই নাওয়া-খাওয়া। তাদের চোখে-মুখে জমানো পানি। একটাই কথা কারো বোন, কারো ভাই, কারো ছেলে-মেয়ে বা বাবা-মাসহ স্বজনদের মৃত অথবা জীবিত ফিরিয়ে দেয়ার আর্তি।

উত্তরবাংলা ডটকম ১ মে ২০১৩

মন্তব্য করুন


 

Link copied