বুধবার, ১ মে ২০১৩, দুপুর ০১:২৭
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঘাঘট নদীর তীরের একটি ইউনিয়নের নাম দামোদরপুর। কর্মহীন এ ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষ ভাগ্য বদলানো ও পেট ভরে খাবার আশায় গ্রাম ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ঢাকার সাভারে। তারপর পোশাক কারখানায় জোটে শ্রমিকের কাজ। সাভারের রানা প্লাজার ৫ গার্মেন্টসেই কাজ করতেন এ ইউনিয়নের ৫ শতাধিক শ্রমিক। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ পর্যন্ত গাইবান্ধার ১৭ শ্রমিকের মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছেছে। তাদের দাফনও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু জেলার শুধু মাত্র একটি গ্রাম এই দামোদরপুরের অনন্ত ৩০ জন শ্রমিকের কোন খোঁজ এখনো মেলেনি। দামোদরপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, এ ঘটনার খবর পেয়ে ধার-দেনা করে গ্রামের মতিজান বেগম একমাত্র সন্তানের খোঁজে ছুটে গিয়েছিলেন সাভারে। খেয়ে না খেয়ে বুক চাপড়িয়ে কেঁদে কেঁদে এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতাল, স্কুলের মাঠ সবখানে খুঁজেও ছেলের খোঁজ না পেয়ে ৫ দিন পর বাড়ি ফিরে এসেছেন। ছেলের শোকে আর কাঁদতেও পারছেন না তিনি। শুধু প্রলাপ বকছেন। মতিজান বেগমের মতো এ গ্রামের অনেকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মানুষের মুখে হাসি নেই। চুলায় জ্বলে না আগুন। নেই নাওয়া-খাওয়া। তাদের চোখে-মুখে জমানো পানি। একটাই কথা কারো বোন, কারো ভাই, কারো ছেলে-মেয়ে বা বাবা-মাসহ স্বজনদের মৃত অথবা জীবিত ফিরিয়ে দেয়ার আর্তি। উত্তরবাংলা ডটকম ১ মে ২০১৩
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঘাঘট নদীর তীরের একটি ইউনিয়নের নাম দামোদরপুর। কর্মহীন এ ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষ ভাগ্য বদলানো ও পেট ভরে খাবার আশায় গ্রাম ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ঢাকার সাভারে। তারপর পোশাক কারখানায় জোটে শ্রমিকের কাজ। সাভারের রানা প্লাজার ৫ গার্মেন্টসেই কাজ করতেন এ ইউনিয়নের ৫ শতাধিক শ্রমিক। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ পর্যন্ত গাইবান্ধার ১৭ শ্রমিকের মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছেছে। তাদের দাফনও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু জেলার শুধু মাত্র একটি গ্রাম এই দামোদরপুরের অনন্ত ৩০ জন শ্রমিকের কোন খোঁজ এখনো মেলেনি।
দামোদরপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, এ ঘটনার খবর পেয়ে ধার-দেনা করে গ্রামের মতিজান বেগম একমাত্র সন্তানের খোঁজে ছুটে গিয়েছিলেন সাভারে। খেয়ে না খেয়ে বুক চাপড়িয়ে কেঁদে কেঁদে এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতাল, স্কুলের মাঠ সবখানে খুঁজেও ছেলের খোঁজ না পেয়ে ৫ দিন পর বাড়ি ফিরে এসেছেন। ছেলের শোকে আর কাঁদতেও পারছেন না তিনি। শুধু প্রলাপ বকছেন। মতিজান বেগমের মতো এ গ্রামের অনেকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মানুষের মুখে হাসি নেই। চুলায় জ্বলে না আগুন। নেই নাওয়া-খাওয়া। তাদের চোখে-মুখে জমানো পানি। একটাই কথা কারো বোন, কারো ভাই, কারো ছেলে-মেয়ে বা বাবা-মাসহ স্বজনদের মৃত অথবা জীবিত ফিরিয়ে দেয়ার আর্তি।
উত্তরবাংলা ডটকম ১ মে ২০১৩
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন উদ্ধার
সোনার দামে সব রেকর্ড ভাঙল
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত- প্রধানমন্ত্রী
২১ বছর নানান ধরনের খেলা চলেছে : প্রধানমন্ত্রী