বুধবার, ১ মে ২০১৩, রাত ১১:১৬
স্টাফ রিপোর্টার: এমন একটা দিন বাদ নেই, যেদিন সীমান্তে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েনি ফেন্সিডিল কিংবা কোনই মাদকদ্রব্য। উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর আর জয়পুরহাট জেলার সীমান্ত এলাকায় দু’দেশের চোরাকারবারীদের মাঝে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। এ দু’জেলার সীমান্ত এলাকার ভারত অভ্যন্তরে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০ টি ছোট বড় রি-প্যাকিং ভ্রাম্যমান কারখানা। আর হিলি সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবছর ঢুকছে প্রায় ৬ কোটি টাকার শুধু ফেন্সিডিল। সাথে অন্যান্য মাদকদ্রব্যতো আছেই। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ভুমিকা নীরব থাকলেও বসে নেই বিজিজি-র্যাব-পুলিশ। ২০১২ সালের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক করে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ধ্বংস করেছে হিলি চেকপোষ্ট ক্যাম্প চত্ত্বরে। তারা মামলাও করেছে ৩ হাজার ৬শ ৮২টি। ফেন্সিডিল ছাাড়াও আটক মাদকদ্রব্যর মধ্যে রয়েছে ইয়াবা,মদ,গাঁজা,হোরোইন,নেশার ইঞ্জেকশন ও ট্যাবলেট। বিজিবি কর্মকর্তা বলছেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবির ভুমিকা থেমে নেই। মাদক পাচাররোধে সীমান্তকে কড়া নজরদারিতে রেখেছেন তারা। মাঝেমধ্যে যা ধরা পড়ছে, তার তিনগুনেরও বেশি পাচার হয়ে আসছে অভিনব কায়দায় গোপনে চোরাই পথে। এমনও অভিযোগ বিজিবির ওই কর্মকর্তার। মাত্র দুই কিলো মিটার হিলি সীমান্ত জুড়ে রয়েছে বিজিবির ৪ টি ক্যাম্প ও একটি স্পেশাল ক্যাম্প। ”মাদক কে না বলুন’’– বিভিন্ন ক্যাম্পে এমনও সচেতনতামূলক সভা-সেমিনার করেও রোধ করতে পারছেন না মাদক চোরাচালান। সীমান্তের চিহিৃত ১৪ টি পয়েন্ট রয়েছে। সীমান্ত ঘেঁষা হাট-বাজার ও ঘর-বাড়ি এমনি ভাবে কাছাকাছি যে মাদক সহজলভ্য দ্রব্য হিসেবে অনায়াসে ভারতে ঢুকে আনা যায়। স্থানীয় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে মাদক চোরাচালানের কথা উপস্থাপন হলেও নেওয়া হচ্ছে না কার্যকরী কোন পদপে। এদিকে মাদক পাচারে যারা ধরা পড়ছেন তারা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের পুরাতন ব্যবসা মাদক পাচার। আবার প্রকাশ্যে দিবালোকে বিক্রিও করছে তারাই। এলাকার সচেতন মহল বলছেন, এসব বন্ধ হবে কবে?
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড
সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন উদ্ধার
সোনার দামে সব রেকর্ড ভাঙল
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত- প্রধানমন্ত্রী