আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬       বেরোবি শিক্ষার্থী আফ্রিদি ফিরবে লাশ হয়ে      

 width=
 

রানা প্লাজার মৃত্যুকূপ থেকে উদ্ধার হওয়া গার্মেন্টস কর্মী রেশমার বাড়ি দিনাজপুর

শুক্রবার, ১০ মে ২০১৩, বিকাল ০৬:৫৪

আটকা পড়ার সতেরো দিন পর রানা প্লাজার মৃত্যুকূপ থেকে উদ্ধার পেলেন গার্মেন্টস কর্মী রেশমা। কোনো ধরণের খাবার বা পানি ছাড়া একাকী অন্ধকার মৃত্যুকূপে রেশমা কিভাবে একা একা এতদিন বেঁচে রইলেন তা অনেকের কাছেই গবেষণার বিষয়বস্তু হতে পারে। তবে রেশমার উদ্ধারে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে তার স্বজনরাই, নির্দ্বিধায় বলা যায় এ কথা। তাই রেশমার উদ্ধারের পর আনন্দে যেন অনেকটাই মিতবাক বোন আসমা।

শুক্রবার বিকেলে রেশমা উদ্ধার পাওয়ার পরপরই তিনি ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। হাতে নিঁখোজ বোনের ছবি আর চোখে তাকে আরেকবার জীবিত দেখতে পাবার আকুলতা। আসমা জানালেন, রেশমার খোঁজ পাবার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরও মাঝে মাঝে ঘটনাস্থলে এসে খোঁজ নিয়ে গেছেন। সবশেষ যখন জানতে পারলেন রেশমা নামে একজন উদ্ধার হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে আসেন তিনি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আসমা সাংবাদিকেদের বলেন, “ঘটনার পর থেকেই আমরা তারে খোঁজাখুঁজি করছি। কিন্তু কোথাও পাইতেছিলাম না। প্রতিদিন এখানে আসি উদ্ধার কাজ দেখতাম আর খুঁজতাম। বোনের লাশটা অন্তত পাওয়া যায় নাকি তার অপেক্ষাত ছিলাম। রেশমা উদ্ধারের খবর পায়া এখানে ছুটি আসি। ওরে জীবিত দেখবো কখনও চিন্তাও করি নাই।” রানা প্লাজার নারী শ্রমিকদের মধ্যে রেশমা নামের আরও কয়েকজন এখনও নিঁখোজ। রেশমা উদ্ধারের খবর পেয়ে তাদের মধ্যে কয়েকজনের স্বজনরাও সেখানে উপস্থিত হন এই ভেবে, যে এই রেশমাই হয়তো তাদের হারানো রেশমা। কিন্তু তাদের সঙ্গে থাকা ছবি দেখে যখন সেনা সদস্যরা জানান এ রেশমা তাদের রেশমা নয়, তখন ক্ষণিকেই নিভে যায় তাদের সব আশার আলো। যাই হোক, রেশমা জীবিত উদ্ধার পেলেন। কিন্তু রেশমার উদ্ধারে আসলে জয়ী হলো মানুষের উদ্যম আর বেঁচে থাকার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার।

মন্তব্য করুন


 

Link copied