আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি       শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল       নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার      

 width=
 

১৮ দিন পর সাদুল্যাপুরের আরো দুই পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

রবিবার, ১২ মে ২০১৩, রাত ১১:২৫

শনিবার নিহতের স্বজনরা তাদের লাশ উদ্ধার করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। নিহতরা হলেন উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের হামিন্দপুর গ্রামের হত-দরিদ্র মোকাব্বর আলী মেয়ে মনজিলা খাতুন (১৮) ও নলডাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দুয়ার পাড়া গ্রামের মফিজল ইসলামের ছেলে জসিম উদ্দিন (১৮)। মনজিলার সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও আইডি কার্ডের সাহায্যে এবং জসিম উদ্দিনের ডিএন টেস্টের মাধ্যমে তাদের লাশ শনাক্ত করা হয়। শনিবার বিকালে মনজিলার ও রোববার সকালে জসিম উদ্দিনের নিজ বাড়িতে পৃথক জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ দিন পর তাদের লাশ পেয়ে যন্ত্রণার মাঝে কিছুটা হলেও সান্ত¡না খুঁজে পাবার চেষ্টা করছেন বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন। নিহতদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার পর সেখানে এক হƒদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এ সময় বাবা-মা, ভাই-বোন ও স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে। মুহূর্তের মধ্যে দুই গ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। এ নিয়ে উপজেলার ১৩ পোশাক শ্রমিকের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলার আরো শতাধিক পোশাক শ্রমিক এখনো নিখোঁজ ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এসব নিখোঁজ লাশের জন্য পরিবারের স্বজনরা সাভারে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।

নিহত মনজিলার পিতা মোকাব্বর আলী জানান, অভাবের তাড়নায় কয়েক মাস আগে রানা প্লাজার একটি গার্মেন্টস সুইং সেকশনে চাকুরী করে আসছিল। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মেয়েকে হারিয়ে বারবার শোকে মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। জসিমের পিতা মফিজল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৪ বছর আগে থেকে তার ছেলে ধসে পড়া ভবনের ৭ম তলার পোশাক কারখানায় ডাইং এ কাজ করতেন। ছেলের প্রতি মাসের পাঠানো টাকা দিয়েই কোন রকমে সংসার চলছিল। কিন্তু সেই ছেলের লাশ দাফন হলো। এখন কি হবে সেই চিন্তায় তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

দামোদরপুর ও নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানান, সাংসারিক অভাব অনাটনের কারণে দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের দুই শতাধিক নারী-পুরুষ “রানা প্লাজার” বিভিন্ন গামের্ন্টস ও কোম্পানিতে চাকুরী করতেন। ওই দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ইউনিয়নের নিখোঁজ এবং আহতদের নাম সংগ্রহ করা হয়েছে। নিহতদের দাফন সঠিকভাবে করা হয়েছে। তবে লাশের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান। তারা আরো জানান, নিহতদের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপনে স্থানীয় অনেকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এলেও অভাবী সংসারের অভাব ও ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যৎ কি তা জানতে বা খোঁজ নিতে প্রশাসন ও সামর্থবানের কেউ কোন সহায়তা দিতে এগিয়ে আসেনি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied