আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

বাম্পার ফলনেও কুড়িগ্রামে হাসি নেই কৃষকের মুখে

সোমবার, ১৩ মে ২০১৩, দুপুর ০২:০২

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুড়িগ্রামের কৃষকরা। বৈরী আবহাওয়ায় ধান কাটার উৎসব চললেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধি ও বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এ জেলার কৃষকরা।

 প্রতিমণ ধান উৎপাদন করতে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা খরচ হলেও কৃষকদের প্রতিমণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। এতে করে প্রতিমণ ধান উৎপাদনে তাদের ক্ষতি গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। গত কয়েক বছর থেকে কৃষকরা ধানের প্রত্যাশিত মূল্য না পাওয়ায় প্রতিবছরই কমে যাচ্ছে ধানের চাষ।

চলতি মৌসুমে জেলায় এ পর্যন্ত ১০ শতাংশ বোরো ধান কাটা-মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় এক লাখ ছয় হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জন হয়েছে এক লাখ চার হাজার হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই হাজার হেক্টর কম। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ধান চাষ কমিয়ে দিয়েছেন বললেও, কৃষি বিভাগ বলছে অন্যান্য ফসলের চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় ধানের চাষ কমে গেছে। সরকার ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ এবং সার, তেল, কীটনাশক ও বিদ্যুতে ভর্তুকি না বাড়ালে ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন কৃষকরা। এভাবে চলতে থাকলে খাদ্যে উদ্বৃত্ত এ জেলা খাদ্য ঘাটতিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার টগরাইহাট এলাকার কৃষক ইউনুছ বলেন, “প্রতিবছর ভালো দাম পাওয়ার আশায় ধান চাষ করলেও ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে নিরাশ হয়েই চলেছি আমরা কৃষকরা। তবুও বেঁচে থাকার অবলম্বন এবং নেশা ও পেশায় ধান চাষ করেই বেঁচে থাকতে হচ্ছে আমাদের।”

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের কৃষক আকতার হোসেন জানান, পানির দামে ধান বিক্রি করে শ্রমিকদের মজুরি মেটাতে হচ্ছে তাদের। উৎপাদিত ধানের বেশিরভাগই চলে চায় ধান কাটা-মাড়াইয়ের মজুরি মেটাতে। এছাড়াও হাল-চাষ, চারা লাগানো, নিড়ানো, সার, কীটনাশকসহ আরো অনেক খরচ তাদের গুনতে হয়েছে মৌসুমজুড়ে।

 কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক প্রতীপ কুমার মণ্ডল জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ছয় হাজার হেক্টর। তার মধ্যে অর্জন হয়েছে এক লাখ চার হাজার হেক্টর।

 মূল্য কমে যাওয়ায় কৃষকরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিয়েছেন, এটা ঠিক নয়। ধানের পাশাপাশি অন্যান্য লাভজনক ফসলের উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ধানের আবাদ কিছুটা কমেছে। বর্তমানে ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষকদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এ সময়ে ধানে আর্দ্রতা বেশি থাকায় দাম কম হলেও ধান শুকিয়ে রাখতে পারলে কৃষকরা বেশি দাম পাবেন বলে জানালেন তিনি।

 মাটি এবং আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় শস্য হিসেবে ধান চাষই কুড়িগ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। তাই ধানের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করে এ কৃষক পরিবারগুলোকে বাঁচাতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার, এ আশাই এখন ভরসা কৃষকের।

 

মন্তব্য করুন


 

Link copied