আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি       রংপুর বিভাগে আসছেন ভূমিমন্ত্রী       রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত       রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়       যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী      

 width=
 

টাকা নিয়ে চাকরী না দেওয়ায় লাঞ্ছিত হলেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার

বুধবার, ১৫ মে ২০১৩, রাত ১০:১২

বুধবার দুপুরে তাঁকে মারধোরের পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ৩ যুবককে আটক করলেও পরে সমঝোতার ভিত্তিতে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে শাহজাহান মন্ডলকে রেজিস্টারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদ্য অব্যাহতি পাওয়া ভিসির আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগ আছে রেজিস্টারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শাহজাহান আলী মন্ডলের বিরুদ্ধে। এরকম ১০/১২ জন যুবক টাকা দিয়ে চাকুরী না পাওয়ায় বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্টারের অফিসে ঢুকে শাহজাহান আলী মন্ডলকে উদ্দেশ্য করে চাকুরী দেয়ার দাবি এবং গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এসময় খবর পেয়ে ৩ জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির পুলিশ। এ ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরে ট্রেজারার প্রফেসর মোজাম্মেল হকের কক্ষে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রেজিস্টার শাহজাহান আলী মন্ডল, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কারমাইকেল কলেজ এক ছাত্রলীগ নেতার উপস্থিতিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সমঝোতা করে আটকদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এব্যাপারে রেজিস্টার শাহজাহান আলী মন্ডল সাংবাদিকদের কাছে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা আমার কক্ষে এসে চাকুরী দাবী করেছিল। আমি তখন তাদের বলেছি চাকুরী ভিসি স্যার দিবেন। এটা আমার দায়িত্ব না। এসময় তারা একটু রেগে যায়। এবং আমাকে ও আমার পিয়নদের লাঞ্ছিত ও মারধরের চেষ্টা করে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক না প্রকাশের সূত্রে জানান, সদ্য বিদায় নেয়া ভিসি আব্দুল জলির মিয়ার আমলে টাকা দিয়ে চাকুরী না হওয়ার তালিকা বেশ দীর্ঘ। এর সাথে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রেজিস্টার শাহজাহান আলী মন্ডল নিবিড়ভাবে মাধ্যম হিসেবে জড়িত। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী মঞ্চের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাকুরী দেয়ার নাম করে ৭ জনের কাছে থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা গ্রহণ এবং ২ জনের কাছ থেকে যথাক্রমে ৬ ও ৫ শতাংশ করে জমি লিখে নেয়া সংক্রান্ত অভিযোগটি তদন্ত করছে ইউজিসি। এছাড়াও সদ্য অপসারিত ভিসির আস্থা-ভাজন হওয়ায় তাকে ঢাকা নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজে প্রভাষক থেকে প্রথমে এডহক ভিত্তিতে এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে অভিজ্ঞতা ও বয়সের শর্ত শিথিল করে ডেপুটি রেজিস্টার পদে অবৈধভাবে সরাসরি নিয়োগ দেয়া এবং ভিসির কাছের মানুষ হিসেবেই তাকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত রেজিস্টারের দায়িত্ব দেয়ার অভিযোগগুলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তদন্তে প্রমাণিত হয় বলে তিনি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনার পর অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে শাহজাহান আলী মন্ডলকে সরিয়ে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসেবে এধরনের আরও বহু ঘটনার আশংকা করছে কর্তৃপক্ষ। এতে বিশ্ববিদ্যালয় আবারও মিডিয়ার শিরোনাম হতে পারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হতে পারে এমন আশংকাও কর্তৃপক্ষের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইন-চার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হলেও পরে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied