সিরাজগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলার ধলেশ্বর নদীতে ট্রলার ডুবিতে নিহত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ৩টি গ্রামের ৬জন শ্রমিককে নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে। এই উপজেলার উধুনিয়া ও বাঙ্গালা ইউনিয়নের ৩টি গ্রামের নিহত ৬ হতদরিদ্রদের বাড়িতে চলছে এখন শোকের মাতম।
লাশ গুলো বৃহস্পতিবার ভোরে আনা হলে উল্লাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভুমি) এসি ল্যান্ড আতরাব আলী, উধুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ হামিদ ও বাঙ্গালা ইউপি চেয়ারম্যান সাত্তার আকন্দ তা গ্রহণ করেন। পরে নিজ গ্রামের কবরস্থানে যোহরের নামাজের পর তাদের দাফন করা হয়। এর আগে তাদের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
ট্রলার ডুবিতে নিহতরা হলেন, উধুনিয়া ইউনিয়নের গাবেশ্বর গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে নেজাব উদ্দিন (৩২) ও সেজাব উদ্দিন (৩৬), শহিদ মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম (১৮), আজিজল প্রামানিকের ছেলে শাহিন আলম(৩০), ফাজিলনগর গ্রামের চয়নদী শেখের ছেলে মোতালেব হোসেন (৩৩) এবং বাঙ্গালা ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের সিদ্দিক আলীর ছেলে সুজন (৩০)।
বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের লাশ নারায়গঞ্জ জেলা থেকে উধুনিয়া ইউনিয়নের গাবেশ্বর, ফাজিলনগর ও বাঙ্গালা ইউনিয়নের বানিয়াকৈর গ্রামে আনা হলে গ্রামবাসি-স্বজনদের মাঝে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌছার পর পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। ৬ জন নিহত হবার ঘটনায় আশেপাশের শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাদের দেখতে নিহতদের বাড়িতে ছুটে আসেন। পরিবারের সদস্য, গ্রামবাসী সহ আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের গগনবিদারী কান্নায় এলাকার আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে ওঠে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, নিহতরা গত ১৫ দিন আগে কাজের সন্ধানে নারায়ণগঞ্জ যায়। বুধবার সকালে নারায়গঞ্জ জেলার আলীরটেক ইউনিয়নের গোগনগর এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত হন এই হতদরিদ্র মাটিকাটা শ্রমিকেরা। বিআইডাব্লিটিএ’র ডুবুরীদল রাতে তাদের লাশ উদ্ধার করেন। নৌকাডুবির ঘটনায় উল্লাপাড়ার ৩৬ জন শ্রমিক ছিলেন। বাকী ২৯ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও স্রোতের কারণে ৬ জনই তলিয়ে যান। বিআইডাব্লিটিএ’র ডুবুরীদল দিনভর খোঁজাখুঁজি করে সন্ধ্যার পর তাদের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হন।