যেদিন ফলাফল প্রকাশিত হয় সে দিন আমি বাড়ী থেকে দুই কিলোমিটার দুরে একজনের জমিতে দিনমজুর হিসেবে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এমন সময় আমার বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জহির স্যার এসে জানায় আমি গোল্ডেন জিপিএ পেয়েছি। এখন ভাল একটি কলেজে ভর্তি হয়ে ভবিষ্যতে প্রকৌশলী হয়ে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে চাই। কিন্তু ইটভাটায় আর মানুষের বাড়ীতে দিনমজুরী করে কি প্রকৌশলী হতে পারবো কি? এমনই প্রশ্ন আতাউরের।
এদিকে আতাউরের বাবা আব্দুল লতিফ ও মা আসমা বেগম জানান, ভাল রেজাল্ট করে ছেলে বায়না ধরেছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে। বলেন তো একজন দিন মজুরের পক্ষে কি এটা সম্ভব? ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন। এতো টাকা আমরা পাবো কই?
তবে কি দিনমজুর আর ইট-ভাটর শ্রমিক আতাউরের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। আতাউরের সাথে যোগাযোগের মোবাইল নম্বর-০১৭৪৪-৬৩৫৮০০।