আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

রংপুর বিভাগে সম্ভাবনা থাকলেও গড়ে উঠেনি ভারী শিল্প

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৩, দুপুর ০৩:২৫

আব্দুর রহমান মিন্টু, অতিথি লেখক: ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সস্তা শ্রম বাজার থাকা সত্ত্বেও রংপুর অঞ্চলে ভারী শিল্প, কলকারখানা গড়ে ওঠেনি। ফলে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে জাতীয় উন্নয়নের মূলধারা থেকে ছিটকে পড়ার উপক্রম হয়েছে রংপুর অঞ্চলে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার কারণে ব্যাপক ভিত্তিক শিল্প কল কারখানাও স্থাপন হয়নি। দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত জনগোষ্ঠির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সরকার উদ্যোগ নিলে রংপুর অঞ্চলে অন্যতম শিল্পাঞ্চল হিসাবে গড়ে উঠতে পারে। জানা গেছে,এ অঞ্চলের খনিগুলোতে রয়েছে নানা প্রকার প্রাকৃতিক সম্পদ। যা দিয়ে গড়ে তোলা যেতে পারে চিনা মাটির কাঁচসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান। শাক-সবজি প্রক্রিয়াজাত করণের ব্যবস্থা, পোল্ট্রি, ডেইরী ফার্ম, মৎস সহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে। সরকারের উদ্যোগ ও সহায়তা পাওয়া গেলে এ অঞ্চল হয়ে উঠতে পারে বিশাল শিল্প নগরী। পাশা পাশি বেকারদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব ঘুচতে পারে। বাড়বে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। নিরাপত্তার দিক থেকেও এ অঞ্চল যথেষ্ট সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। শিল্পাঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠার অপার সম্ভাবনাময় রংপুর অঞ্চলে ৩টি কয়লাখনিতে মজুদ রয়েছে ২ হাজার ১ শত ২৭ মিলিয়ন টন কয়লা। এই কয়লা জ্বালানী খাতে বিপ্লব ঘটাতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন যুগোপযোগী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই পদক্ষেপ। জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে ৩টি কয়লা খনি, ১টি পাথর খনি, ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কয়েকটি স্থলবন্দর রয়েছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়ায় অবস্থিত কয়লা খনি থেকে ইতিমধ্যেই বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। উৎপাদিত কয়লা দিয়ে চালু করা হয়েছে কয়লা ভিত্তিক ২৫০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ উপজেলার মধ্য-পাড়ায় রয়েছে দেশের একমাত্র কঠিন শিলা খনি প্রকল্প। এ অঞ্চলে খনিজ স¤পদের উপযুক্ত ব্যবহার হলে দেশের অর্থনীতির চেহারা বদলে দিতে পারে। এসব এলাকার সাথে রাজধানীসহ দেশের সব এলাকার সড়ক যোগাযোগ খুব সহজ। রয়েছে রেল পথ যোগাযোগের সুবিধা। রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সরাসরি রেল যোগাযোগ এ অঞ্চলের গুরত্বকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। যমুনা বহুমুখী সেতুর কারণে রংপুরাঞ্চলের সাথে দেশের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এ অঞ্চলের চাষাবাদ-কৃত ফসলের বাজারজাত করণ সমস্যা কিছুটা দুর হয়েছে। এ অঞ্চলের কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলনে সরকার উদ্যোগ নিলে রংপুর অঞ্চলে সম্ভাবনাময় শিল্পাঞ্চল হিসাবে গড়ে উঠতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

রংপুরের পীরগঞ্জে আবিষ্কৃত দেশের একমাত্র লৌহ খনি, পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার শালবাহানের তৈলকূপ, উত্তোলনের মাধ্যমে বদলে দেয়া যাবে দেশের চিত্র। অথচ এসব খনিজ সম্পদ অদৃশ্য এক রহস্যময় কারণে আজো দেশবাসীর দৃষ্টির অন্তরালে রয়েছে। এ নিয়ে জনমনে মাঝে-মধ্যে প্রশ্নের উদয় হলেও এতদিনেও কেন এই খনিগুলোর উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি এর সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। কৃষিতে রয়েছে রংপুর অঞ্চলে গৌরব ময় অবস্থান। এ অঞ্চলের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর ২০ থেকে৩০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উদ্বৃত্ত থাকে। অথচ কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। কৃষিপণ্য ভিত্তিক কল কারখানা স্থাপন করা হলে এ অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে কৃষকরা। এ অঞ্চলে শিল্প কল কারখানা স্থাপন হলে এখানকার উৎপাদিত কয়লা, শিল্প কল-কারখানায় জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। মধ্য-পাড়ার উত্তোলিত কঠিন শিলা ব্যবহার করে টাইলস, মোজাইকসহ বিভিন্ন পাথর নির্ভর কল-কারখানা স্থাপন করা হলে এ ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied